Menu |||

চেহারা নয়, চরিত্রই আসল বিচার

কারও বাহ্যিক চেহারা দেখে বিচার করা সব সময় ভুল। এ কারণেই হয়তো দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন, “কথা বলো, যেন তোমাকে দেখতে পাই।” সেই থেকে তাঁর এই কথাগুলো সারা বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে .........বিস্তারিত

মানুষ তো আর মানুষ নয়- আ হ জুবেদ

আমি যে দিকে তাকাই শুকনো পাতা ঝরে আমার মন ভরে না, বৃষ্টি আসে, জল দেয়, আমার মন শান্ত থাকে না, মানুষ মানুষ নয়, মানুষের মনে .........বিস্তারিত

নিঃশব্দ কান্না

শীতের সকাল। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চার পাশ। একটা ছোট্ট জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে তৃষা। প্রতিদিনের মতো আজও সে চুপচাপ বসে আছে। মুখে কোনো .........বিস্তারিত

হাকালুকি হাওর বিপন্ন: অবৈধ মাছ শিকারে হুমকির মুখে বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির মাছের ভাণ্ডার

বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে বর্ষা শেষে পানির স্তর কমতে না কমতেই শুরু হয়েছে মৎস্য সম্পদ নিধনের এক ভয়াবহ প্রতিযোগিতা। প্রতিদিন, বিশেষ করে রাতের আধারে বেড়জাল, কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মা মাছ ও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে এ দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য ভাণ্ডার। একসময়ের সমৃদ্ধ ‘মাদার ফিশারিজ’ এখন সংকটের মুখে বাংলাদেশের চারটি প্রধান ‘মাদার ফিশারিজ’ এর অন্যতম হলো হাকালুকি হাওর। ১৮,১১৫ হেক্টর আয়তনের এই জলাভূমি ২৭৬টি আন্তঃসংযুক্ত বিল নিয়ে গঠিত। এখানে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হতো। ২০১৬ সালে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছিল। মৎস্য বিভাগ দাবি করেছিল গত মৌসুমে উৎপাদন বেড়েছে ২০ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর সেই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি, প্রশাসনিক দুর্বলতা স্পষ্ট বাংলাদেশের প্রচলিত মৎস্য আইন অনুযায়ী ৩০ সেন্টিমিটারের নিচে বোয়াল-আইড়, ২৫ সেন্টিমিটারের নিচে কার্প জাতীয় মাছ, মা মাছ ও পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও বাস্তবে জেলেরা নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। সম্প্রতি কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশের টাস্কফোর্স যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ টাকার অবৈধ জাল উদ্ধার করে। আগেও দেড় লাখ টাকার জাল জব্দ ও হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু অবৈধ মাছ ধরা বন্ধ হয়নি। চিহ্নিত সংঘবদ্ধ চক্র প্রতিরাতে হাওরে বিশাল বেড়জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে জলজ উদ্ভিদ নষ্ট হচ্ছে; হাওরের প্রতিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। মাছ ধরা শেষে এসব মাছ ভ্যানে তুলে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও মাসোহারা নিয়ে এদের প্রশ্রয় দেন। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা পরিবেশ কর্মী মিন্টু দেশোয়ার বলেন:“মা মাছ ও পোনা ধরা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে দেশীয় মিঠাপানির মাছ বিলুপ্তির মুখে পড়বে। শুধু অভিযান নয়, প্রয়োজন কঠোর শাস্তি ও হাওরপাড়ের জনগণের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা।” জীবিকার সংকট, জেলেদের আকুতি প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ হাকালুকি হাওরের ওপর নির্ভরশীল। তালিকাভুক্ত ১,৭১০ জন জেলে ছাড়াও অনেক অপ্রাতিষ্ঠানিক জেলে এ হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্থানীয় জেলে সুমন মিয়া বলেন: “সরকার যদি সাহায্য করত, হয়তো বিকল্প পেশা নিতাম। কিন্তু এখন আমাদের জন্য মাছ ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।” ভুকশিমুল ইউনিয়নের অপর এক জেলে বলেন: “পোনা ছেড়ে দিলে বড় হয়ে আবার কি আমাদের কাছে ফিরে আসবে? এখন যা পাই, তা-ই ধরতে হয়।” প্রশাসনের ভাষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কুলাউড়া উপজেলা উৎস কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন: “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু এত বিশাল হাওর নজরদারি করতে লজিস্টিক সাপোর্ট ও জনবল কম। শুধু আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, স্থানীয় মানুষদের সচেতন করতে হবে।” জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুরুননবী বলেন: “মৌলভীবাজারের সব হাওরে টাস্কফোর্স অভিযান চলছে। মা মাছ, পোনা ও নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।” জীববৈচিত্র্যের অবনমন: হারিয়ে যাচ্ছে মিঠাপানির মাছ একসময় হাকালুকি হাওরে ছিল রুই, কাতলা, মৃগেল, কালো বাউস, আইড়, বোয়াল, শোল, গজার, পাঙ্গাস, পাবদা, মাগুর, সিং, কই, পুটি, টেংরা, রানি, মলা, বাঁচা সহ প্রায় সব দেশীয় মাছ। এখন অনেক প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে। পাঙ্গাস, পাবদা, সিং, ঘনিয়া, রানি এখন চোখেই পড়ে না। এক সময়ের হাওরের ইলিশও আজ কেবল স্মৃতি। উপসংহার: এখনই না জাগলে কাল দেরি হয়ে যাবে হাকালুকি হাওর শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। এই হাওরের প্রাকৃতিক মৎস্য ভাণ্ডার যদি এইভাবে শেষ হতে থাকে, তা শুধু খাদ্য নিরাপত্তাকেই নয়, মানুষের জীবিকা, পরিবেশ ও অর্থনীতিকেও ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত করবে। প্রয়োজন টেকসই ব্যবস্থাপনা, জেলেদের বিকল্প পেশার সুযোগ, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির মাছের উৎস হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়। .........বিস্তারিত

কাচাঁ মরিচ হাজারে- মোবাশ্বির হোসাইন

আদা যখন সাতশো টাকাকাঁচা মরিচ হাজারে,মাথা নষ্ট হয়ে গেলোগিয়ে কাঁচা বাজারে।। শশা গাজর চুপ করে রয়কান্ড দেখে লংকার,টমেটো আর ধনে পাতারকি অপরুপ ঝংকার।। ঝিঙে,পটল,পেপে বেগুনলাউ .........বিস্তারিত

জীবন নদীর বাকেঁ ”গল্প”

আমি সোহেল। আমার বড় এক বোন পাপিয়া।আর ছোট এক ভাই আরাফাত। আমাদের গোছালো সংসার। মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনটি সন্তান নিয়ে যেমন থাকা যায় তেমন আমাদের পরিবার। .........বিস্তারিত

অপেক্ষা এর গল্প- আফরোজা মুন্নি

হঠাৎ করেই মোবাইলটা বেজে উঠলো। আয়েশা দেখে তার স্বামী সজল সৌদি থেকে ফোন দিয়েছে। কয়েকদিন থেকেই শুনছে সৌদিতে করোনা ভাইরাসে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।তাড়াতাড়ি মোবাইলটা .........বিস্তারিত

মানুষকে সদাসর্বদাই আপন করে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা প্রয়োজন 

নজরুল ইসলাম তোফা:: মানুষের জীবন সার্থকতা পায় মনুষ্যত্ব অর্জন করে। শিক্ষা বা সাধনার মাধ্যমে বিবেক, বুদ্ধি কিংবা মনন শক্তি জাগ্রত করে মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে .........বিস্তারিত

মানবতার ”গল্প” -আফরোজা মুন্নি

আমার একমাত্র ছোট ভাইয়ের বিমান বাহিনীতে চাকুরি হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি চিটাগাং বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ট্রেনিং এর উদ্দেশ্যে সে ঢাকা থেকে ট্রেনে চিটাগাং .........বিস্তারিত

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

চেহারা নয়, চরিত্রই আসল বিচার

কারও বাহ্যিক চেহারা দেখে বিচার করা সব সময় ভুল। এ কারণেই হয়তো দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন, “কথা বলো, যেন তোমাকে দেখতে পাই।” সেই থেকে তাঁর এই কথাগুলো সারা বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।একজন ব্যক্তির জনসাধারণের সামনে থাকা ভাবমূর্তি তার পুরো গল্পটা বলে না। অনেকেরই এমন খ্যাতি থাকে যা তাদের ভিলেন, চোর বা তার চেয়েও খারাপ রূপে চিত্রিত করে, কিন্তু তাদের একটি গোপন, ভিন্ন দিকও .........বিস্তারিত

মানুষ তো আর মানুষ নয়- আ হ জুবেদ

আমি যে দিকে তাকাই শুকনো পাতা ঝরে আমার মন ভরে না, বৃষ্টি আসে, জল দেয়, আমার মন শান্ত থাকে না, মানুষ মানুষ নয়, মানুষের মনে শয়তানের বাস, আমি যেদিকে তাকাই, সবার মুখে হাসি, কিন্তু মনের মধ্যে অন্ধকারের বাস, আমার হৃদয় কেঁদে ওঠে, আমি দেখি, মানুষ মানুষকে ঠকায়, মানুষ মানুষকে আঘাত করে, মানুষ মানুষকে ভালোবাসে না, .........বিস্তারিত

নিঃশব্দ কান্না

শীতের সকাল। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে চার পাশ। একটা ছোট্ট জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে তৃষা। প্রতিদিনের মতো আজও সে চুপচাপ বসে আছে। মুখে কোনো শব্দ নেই, ঠোঁটে কোনো কথা নেই। কারণ সে বোবা। তৃষার জন্মের পর থেকেই সবাই তাকে এক অভিশাপ মনে করত। মা যখন মারা গেল, তখন মাত্র তিন মাস বয়স ছিল তার। .........বিস্তারিত

হাকালুকি হাওর বিপন্ন: অবৈধ মাছ শিকারে হুমকির মুখে বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির মাছের ভাণ্ডার

বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে বর্ষা শেষে পানির স্তর কমতে না কমতেই শুরু হয়েছে মৎস্য সম্পদ নিধনের এক ভয়াবহ প্রতিযোগিতা। প্রতিদিন, বিশেষ করে রাতের আধারে বেড়জাল, কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মা মাছ ও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে এ দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য ভাণ্ডার। একসময়ের সমৃদ্ধ ‘মাদার ফিশারিজ’ এখন সংকটের মুখে বাংলাদেশের চারটি প্রধান ‘মাদার ফিশারিজ’ এর অন্যতম হলো হাকালুকি হাওর। ১৮,১১৫ হেক্টর আয়তনের এই জলাভূমি ২৭৬টি আন্তঃসংযুক্ত বিল নিয়ে গঠিত। এখানে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হতো। ২০১৬ সালে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছিল। মৎস্য বিভাগ দাবি করেছিল গত মৌসুমে উৎপাদন বেড়েছে ২০ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর সেই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি, প্রশাসনিক দুর্বলতা স্পষ্ট বাংলাদেশের প্রচলিত মৎস্য আইন অনুযায়ী ৩০ সেন্টিমিটারের নিচে বোয়াল-আইড়, ২৫ সেন্টিমিটারের নিচে কার্প জাতীয় মাছ, মা মাছ ও পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও বাস্তবে জেলেরা নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। সম্প্রতি কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশের টাস্কফোর্স যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ টাকার অবৈধ জাল উদ্ধার করে। আগেও দেড় লাখ টাকার জাল জব্দ ও হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু অবৈধ মাছ ধরা বন্ধ হয়নি। চিহ্নিত সংঘবদ্ধ চক্র প্রতিরাতে হাওরে বিশাল বেড়জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে জলজ উদ্ভিদ নষ্ট হচ্ছে; হাওরের প্রতিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। মাছ ধরা শেষে এসব মাছ ভ্যানে তুলে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাও মাসোহারা নিয়ে এদের প্রশ্রয় দেন। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা পরিবেশ কর্মী মিন্টু দেশোয়ার বলেন:“মা মাছ ও পোনা ধরা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে দেশীয় মিঠাপানির মাছ বিলুপ্তির মুখে পড়বে। শুধু অভিযান নয়, প্রয়োজন কঠোর শাস্তি ও হাওরপাড়ের জনগণের বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা।” জীবিকার সংকট, জেলেদের আকুতি প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ হাকালুকি হাওরের ওপর নির্ভরশীল। তালিকাভুক্ত ১,৭১০ জন জেলে ছাড়াও অনেক অপ্রাতিষ্ঠানিক জেলে এ হাওরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্থানীয় জেলে সুমন মিয়া বলেন: “সরকার যদি সাহায্য করত, হয়তো বিকল্প পেশা নিতাম। কিন্তু এখন আমাদের জন্য মাছ ধরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।” ভুকশিমুল ইউনিয়নের অপর এক জেলে বলেন: “পোনা ছেড়ে দিলে বড় হয়ে আবার কি আমাদের কাছে ফিরে আসবে? এখন যা পাই, তা-ই ধরতে হয়।” প্রশাসনের ভাষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কুলাউড়া উপজেলা উৎস কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন: “আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু এত বিশাল হাওর নজরদারি করতে লজিস্টিক সাপোর্ট ও জনবল কম। শুধু আইনি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, স্থানীয় মানুষদের সচেতন করতে হবে।” জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নুরুননবী বলেন: “মৌলভীবাজারের সব হাওরে টাস্কফোর্স অভিযান চলছে। মা মাছ, পোনা ও নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।” জীববৈচিত্র্যের অবনমন: হারিয়ে যাচ্ছে মিঠাপানির মাছ একসময় হাকালুকি হাওরে ছিল রুই, কাতলা, মৃগেল, কালো বাউস, আইড়, বোয়াল, শোল, গজার, পাঙ্গাস, পাবদা, মাগুর, সিং, কই, পুটি, টেংরা, রানি, মলা, বাঁচা সহ প্রায় সব দেশীয় মাছ। এখন অনেক প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে। পাঙ্গাস, পাবদা, সিং, ঘনিয়া, রানি এখন চোখেই পড়ে না। এক সময়ের হাওরের ইলিশও আজ কেবল স্মৃতি। উপসংহার: এখনই না জাগলে কাল দেরি হয়ে যাবে হাকালুকি হাওর শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। এই হাওরের প্রাকৃতিক মৎস্য ভাণ্ডার যদি এইভাবে শেষ হতে থাকে, তা শুধু খাদ্য নিরাপত্তাকেই নয়, মানুষের জীবিকা, পরিবেশ ও অর্থনীতিকেও ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত করবে। প্রয়োজন টেকসই ব্যবস্থাপনা, জেলেদের বিকল্প পেশার সুযোগ, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠাপানির মাছের উৎস হারিয়ে যাবে ইতিহাসের পাতায়। এস এম মেহেদী হাসান : একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক, যিনি বাংলাদেশের পরিবেশ, জলাভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকা বিষয়ে নিয়মিত লেখেন .........বিস্তারিত

কাচাঁ মরিচ হাজারে- মোবাশ্বির হোসাইন

আদা যখন সাতশো টাকাকাঁচা মরিচ হাজারে,মাথা নষ্ট হয়ে গেলোগিয়ে কাঁচা বাজারে।। শশা গাজর চুপ করে রয়কান্ড দেখে লংকার,টমেটো আর ধনে পাতারকি অপরুপ ঝংকার।। ঝিঙে,পটল,পেপে বেগুনলাউ কিংবা আলুতে,সিন্ডিকেটে ভাংছে কাঁঠালআমজনতার তালুতে।। পিঁয়াজ,রসুন,হলুদ বাখরওরা আছে দাড়িয়ে,আটা ময়দা লং এলাচিহাতটা দিলো বাড়িয়ে।। কাঁচা মরিচ হয়নি কেনালংকা ছাড়াই তরকারি,শাক,শুটকি, চাল ডালসবচে বেশি দরকারী।। দুধ,চিনি আর চা-পাতাওসবার ঘরে লাগবে,সিন্ডিকেটের ভাংতে .........বিস্তারিত

জীবন নদীর বাকেঁ ”গল্প”

আমি সোহেল। আমার বড় এক বোন পাপিয়া।আর ছোট এক ভাই আরাফাত। আমাদের গোছালো সংসার। মধ্যবিত্ত পরিবারে তিনটি সন্তান নিয়ে যেমন থাকা যায় তেমন আমাদের পরিবার। অর্থের সচ্ছলতা না থাকলেও কোন দিন অভাবকে প্রশ্রয় দেয়নি আমার আব্বা। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের চাওয়াকে পূরণের চেষ্টা করেছেন আব্বা। ও বলা হয়নি আমার আব্বা কাপড়ের ব্যবসা করেন। আব্বা বাবুরহাট .........বিস্তারিত

অপেক্ষা এর গল্প- আফরোজা মুন্নি

হঠাৎ করেই মোবাইলটা বেজে উঠলো। আয়েশা দেখে তার স্বামী সজল সৌদি থেকে ফোন দিয়েছে। কয়েকদিন থেকেই শুনছে সৌদিতে করোনা ভাইরাসে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।তাড়াতাড়ি মোবাইলটা রিসিভ করলো আয়শা। সজলকে দেখে আয়শার বুক কেযন করে উঠলো। সারাক্ষণ কাশি দিচ্ছে, সাথে নাকি জ্বর‌ও আছে। কিছু খেতে পারছে না। হাসপাতালেও রোগী ভর্তি।ডাক্তার দেখাতে পারছে না। ডাক্তারের কাছ থেকে .........বিস্তারিত

মানুষকে সদাসর্বদাই আপন করে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা প্রয়োজন 

নজরুল ইসলাম তোফা:: মানুষের জীবন সার্থকতা পায় মনুষ্যত্ব অর্জন করে। শিক্ষা বা সাধনার মাধ্যমে বিবেক, বুদ্ধি কিংবা মনন শক্তি জাগ্রত করে মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। এ পৃথিবীতে তরুলতা, বৃক্ষ, পশুপাখির মতো মানুষও প্রকৃতির সৃষ্টি। সুতরাং,- প্রকৃতির অন্যান্য সৃষ্টির চেয়ে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে মানুষ একেবারেই আলাদা। একটু ইতিহাসের আলোকেই বলা দরকার হয় যে মানুষ সমাজ .........বিস্তারিত

মানবতার ”গল্প” -আফরোজা মুন্নি

আমার একমাত্র ছোট ভাইয়ের বিমান বাহিনীতে চাকুরি হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি চিটাগাং বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ট্রেনিং এর উদ্দেশ্যে সে ঢাকা থেকে ট্রেনে চিটাগাং র‌‌ওনা হয়। আব্বা -আম্মা তাকে বিদায় দিতে তার সাথে ঢাকা আসে। ট্রেন চোখের আড়াল হলে দুজনে চোখ ভর্তি পানি নিয়ে আমার বড় বোন ঢাকায় থাকে তার বাসায় গেল। দুপুরে খাওয়া .........বিস্তারিত

সর্বশেষ খবর





Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।