রাজাপুর প্রতিনিধি ঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে জব্দকৃত ইলিশ নিয়ে থানা পুলিশের এক এসআই ও এক কনষ্ট্রেবলের মধ্যে তুলকালাম ঘটে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জব্দকৃত ইলিশ নিয়ে খোদ থানায় বসেই এসআই ও পুলিশ সদস্যের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা জিডি পর্যন্ত গড়ায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব ঘটনা অস্বীকার করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য অফিস ও রাজাপুর থানা পুলিশ মা ইলিশ রক্ষায় বিষখালি নদীতে অভিযান চালায়। এ অভিযানে চারজন জেলেকে আটক ও প্রায় দেড় হাজার মিটার অবৈধ কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। এসময় বেশ কিছু ডিমওয়ালা মা ইলিশও আটক করা হয়। পরে ওই ইলিশ রাজাপুরে এনে একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। শুক্রবার রাতেই ওই জব্দকৃত ইলিশ থেকে ওই অভিযানে অংশ নেয়া রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হাফেজ ও তিনজন পুলিশ সদস্য ৭টি বড় ডিমওয়ালা ইলিশ থানায় নিয়ে আসেন। পরে গোলাম হাফেজ একাই চারটি ইলিশ নিতে চাইলে এ নিয়ে এসআই ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত গড়ায়। পরে অন্যান্য পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে রাতেই এসআই গোলাম হাফেজ থানার অপর কনষ্ট্রেবল সেকান্দার আলীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-৬৭) করেন। তুচ্ছ এ ঘটনায় খোদ থানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিজেদের মধ্যে এ তুলকালামে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য এসআই গোলাম হাফেজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে শনিবার রাজাপুর থানার দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এটা পুলিশের অভ্যন্তরীন ও একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাওয়ার কে? থানায় কোন ঘটনায় কি ঘটেছে তা আমরা সাংবাদিকদের জানাতে বাধ্য নই। আর জিডির ব্যাপারেও আমি কোন মন্তব্য করতে চাইনা।’