Menu |||

রহস্যে ভরা মানব জীবন

দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রশ্ন মাথার ভেতর ঘুরপাক খায় হঠাৎ হঠাৎ! কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনা বোধের মসৃন জায়গাটা হয়তো অনেকটা দূর্বল। তাছাড়া সহজ কথা নাকি সহজে বোঝা যায়না! অনেক সময় কঠিন জিনিস সহজেই বোধগম্য হয়! আবার সহজ জিনিস জটিলতাপূর্ণ রুপ নেয় মনোজগতে! এ এক বিস্ময়!

যে প্রশ্ন বা বিষয়টি অবতারণার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি যা আমাদের সামাজিক/ পারিবারিক /রাস্ট্রীয় এমনকি দম্পতি জীবনে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায় সেটা হলো “বংশবিস্তার”!! এই বংশবিস্তার বা পারিবারিক শিক্ষায় বেড়ে ওঠা কোমলমতি শিশু -কিশোরেরা একদিন পরিণত বয়সে এসে দাঁড়ায় ভিন্ন ভিন্ন আর্দশে মানবিক জীবন গঠনের মাধ্যমে! একই পরিবারে বেড়ে ওঠা দুটি সন্তান দুই মেরুতে অবস্হান করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষারর ভিন্নতার কারনে!
একটু পরিস্কার করে এভাবে বলা যায় যে, বাবা মায়ের আদরের দুটি সন্তান একজন কে দেখতে চান ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার অথবা বড় শিল্পি কিংবা সংস্কৃতি কর্মি হিসেবে!!
আবার অন্য এক ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে ছেলে মাওলানা হবে!
একদিন বাবা, মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো, একজন বিখ্যাত শিল্পি হলো (নাচ,গান,অভিনয়,আবৃত্তিতে পারদর্শি)! অন্য জন নামকরা মাওলানা হলো!
বাবা মায়ের আত্নতৃপ্তিতে হৃদয় ভরে ওঠে!!
এক ছেলে শিল্পি অন্য ছেলে মাওলানা!
কিন্ত সময় বড়ই কৃপন, বড়ই স্বার্থপর সেই সুখের বাসরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় নিষ্ঠুর সময়! আদরের সেই ভাইয়ের (শিল্পি) বিরদ্ধে সময়ের শক্তহাত ধরে দাঁড়ায় সেই মাওলানা ভাই!!
সে এক জন খাটি মুসলমান তাই ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের ঘোর বিরোধীতায় অনড়! এই নাচ,গান অভিনয় ইসলামের খেলাপ। তাই ভাইয়ের বিপরীত মুখী! ওয়াজ মাহফিলে কঠিন হুশিয়ারী বক্তব্য রাখেন মহান পাক রব্বুল আলামিনের পাক কালাম থেকে!
অন্যদিকে প্রগতিশীল সেই সাংস্কৃতিবান ভাই এবার মাওলানা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ান, অবস্হান নেন মাওলানার বিরুদ্ধে সেও সময়ের শক্তহাত চেপে ধরে কঠিন হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন, এরা ইসলামের শত্রু, মানুষ জবাই করে,রগ কেটে দেয়, বোমাবাজি করে! এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে!!
বাবা মায়ের সেই স্বপ্নের ঘরে সময়ের স্যাতস্যাতে শিক্ষার আবহাওয়ায় ঘুন পোকা বাসা বেঁধে ক্ষয় করে ধীরে ধীরে! কিছুতেই যেন রোধ করা সম্ভব হয় না!
নির্ঘুমে রাত কাটে অসহায় বাবা মায়ের!
এই সন্তানদের বড় করতে যেয়ে কত কস্টই না পোহাতে হয়েছে! রোদে পুঁড়ে,বৃস্টিতে ভীজে পায়ে হেঁটে অফিস করেছে! শুধু ছোট্র একটি স্বপ্নকে আঁড়কে ধরে! আজ সেই স্বপ্নই দু:স্বপ্নে রুপ নিয়ে অন্ধকারে ঢেকে গেলো জীবনের আঙ্গিনা!!
আজ অসহায় বাবা, মা অশ্রুজল শুকিয়ে গেছে প্রগতিশীল সমাজ ব্যবস্হায় মানবতা ও সাম্যবাদের জয়গানে উল্লসিত ছিল যে যুবক, রাস্তার পাশে ক্ষত-বিক্ষত নিথর দেহটাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় কুকুরেরা!.!ইসলাম রক্ষার্থে মৌলবাদীরা তাকে পাঠালো পরপারে…!!
যে সন্তানকে একদিন বুকে আগলিয়ে বড় করেছে….
আজ সেই সন্তানই লাশ হয়ে কাঁধে ঝুলছে! পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা নাকি পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ!
এ বোঝা সইবার ক্ষমতা যেন নাই।
এবার বাবা মায়ের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে! শেষ হয়ে গেল জীবনের সব! সহায় সম্বল বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল পড়াতে! চোখের সামনে পরে আছে সেই আদরের সন্তানটি! যেন তাকাতে পারে না ভেসে ওঠে শৈশবের সেই দিন গুলি কত স্বপ্ন আর আশা নিয়ে এক একটি দিন অতিবাহিত করেছে কবে ছেলে স্কুলের কোরিডোর পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা রাখবে! কবে একদিন মানুষের মত মানুষ হয়ে ফিরে আসবে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোঁটাতে!!
কত না স্মৃতি ভেসে ওঠে….!
এই দু:খ, কস্টের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আরেক ধাক্কা লাগলো বুকের ঠিক মাঝ খানে! জীবনের বড় স্বপ্ন স্বাদ যেন মুছে গেল নিমিষেই! হারিয়ে গেল জীবনের সব আনন্দের আলেখ্যন! হৃদয়ের অলিন্দে শুধুই বেদনারা কস্টের সানাই বাজায়…..দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যায় ভেতর টা…. কত স্বপ্ন দেখেছিল ছেলেটি মাওলানা হয়ে নাম করবে তার উছিলায় বাবা মায়ের ও জান্নাতে যাওয়ার ব্যবস্হা হবে কাল হাশরে!
আজ কেন এমন হলো, পুলিশের বন্দুকের গুলিতে ঝাঝরা হয়ে গেছে দেহটা! ইসলামের শত্রু জঙ্গি নিধনের টার্গেটে এবার শেষ ভরশার প্রদ্বীপ নিভে গেল….! বাবা মা নির্বাক! ভাষা হারিয়ে ফেলেছে…. সন্তান হারালো, সমাজের অপবাদে বেঁচে থাকাও দূর্বিষহ হয়ে উঠলো জীবন! কত যত্নকরে লালন পালন করেছে সন্তানকে, কতরাত ঘুমায়নি মা! সারারাত জেগে জেগে ছেলের শীয়রে বসে সূস্হতার সেবায় বাসি ফুলের নুইয়ে গেছে মা! আজ সেই আদরের মানিক কে একটু হাত বুলাবে সেই সাধ্য নেই! এমনকি লাশ নিতেও ও অপারগ! সমাজের লোক জঙ্গির বাবা মা অপবাদে বিষিয়ে তুলবে!! বোবা কান্না কেউ শোনেনা!! আকাশের দিক তাকিয়ে বাবা মায়ের দিন কাটে। জীবনের শেষ কোথায়!
জীবনের গল্প এখানেই শেষ হলো।
আমাদের এই সমাজ ব্যবস্হায় কেন এমন হয়?
এর জন্য দ্বায়ী কে? সন্তান? নাকি বাবা মা? নাকি আমাদের সমাজ ব্যবস্হা?
এই দু সন্তানের মৃত্যুর জন্য দ্বায়ী কে? সমাজ, নাকি রাস্ট্র,নাকি সামাজিক ব্যবস্হা নাকি বাবা, মা?
ভেতরে ভেতরে সমুদ্রের তলদেশের মত ওলট পালট ঘটে!!সঠিক উত্তরের অপেক্ষায় নিজের সাথে নিজের প্রতি নিয়ত যুদ্ধ হয়!
সমাজের মানুষ গুলো নিজের মত করে ব্যাখ্যা দেয় কিন্ত আশ্বস্ত হতে পারিনি আজও……..! !!
———-তুহিন মাহমুদ
২৫ অক্টোবর মিলান,ইতালি!!

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুয়েতে মুরাদুল হক চৌধুরীকে সম্মাননা

» তাপপ্রবাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা

» মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন

» কুয়েতে সংবর্ধিত হলেন মুরাদুল হক চৌধুরী

» সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঝড়বৃষ্টিতে মৃত বেড়ে ৪

» তাপদাহ: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

» কুয়েতে প্রবাসী নারীদের সংগঠন উদযাপন করেছে পহেলা বৈশাখ

» কুয়েত বাংলাদেশ কমিউনিটির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

» কুয়েতে বাংলাদেশ ভবনে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রবাসীদের শুভেচ্ছা বিনিময়

» মালয়েশিয়ার মিনি ঢাকায় ‘রেস্টুরেন্ট মনির ভাই’ উদ্বোধন

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

রহস্যে ভরা মানব জীবন

দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রশ্ন মাথার ভেতর ঘুরপাক খায় হঠাৎ হঠাৎ! কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনা বোধের মসৃন জায়গাটা হয়তো অনেকটা দূর্বল। তাছাড়া সহজ কথা নাকি সহজে বোঝা যায়না! অনেক সময় কঠিন জিনিস সহজেই বোধগম্য হয়! আবার সহজ জিনিস জটিলতাপূর্ণ রুপ নেয় মনোজগতে! এ এক বিস্ময়!

যে প্রশ্ন বা বিষয়টি অবতারণার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি যা আমাদের সামাজিক/ পারিবারিক /রাস্ট্রীয় এমনকি দম্পতি জীবনে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায় সেটা হলো “বংশবিস্তার”!! এই বংশবিস্তার বা পারিবারিক শিক্ষায় বেড়ে ওঠা কোমলমতি শিশু -কিশোরেরা একদিন পরিণত বয়সে এসে দাঁড়ায় ভিন্ন ভিন্ন আর্দশে মানবিক জীবন গঠনের মাধ্যমে! একই পরিবারে বেড়ে ওঠা দুটি সন্তান দুই মেরুতে অবস্হান করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষারর ভিন্নতার কারনে!
একটু পরিস্কার করে এভাবে বলা যায় যে, বাবা মায়ের আদরের দুটি সন্তান একজন কে দেখতে চান ডাক্তার,ইন্জিনিয়ার অথবা বড় শিল্পি কিংবা সংস্কৃতি কর্মি হিসেবে!!
আবার অন্য এক ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন বড় হয়ে ছেলে মাওলানা হবে!
একদিন বাবা, মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো, একজন বিখ্যাত শিল্পি হলো (নাচ,গান,অভিনয়,আবৃত্তিতে পারদর্শি)! অন্য জন নামকরা মাওলানা হলো!
বাবা মায়ের আত্নতৃপ্তিতে হৃদয় ভরে ওঠে!!
এক ছেলে শিল্পি অন্য ছেলে মাওলানা!
কিন্ত সময় বড়ই কৃপন, বড়ই স্বার্থপর সেই সুখের বাসরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় নিষ্ঠুর সময়! আদরের সেই ভাইয়ের (শিল্পি) বিরদ্ধে সময়ের শক্তহাত ধরে দাঁড়ায় সেই মাওলানা ভাই!!
সে এক জন খাটি মুসলমান তাই ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের ঘোর বিরোধীতায় অনড়! এই নাচ,গান অভিনয় ইসলামের খেলাপ। তাই ভাইয়ের বিপরীত মুখী! ওয়াজ মাহফিলে কঠিন হুশিয়ারী বক্তব্য রাখেন মহান পাক রব্বুল আলামিনের পাক কালাম থেকে!
অন্যদিকে প্রগতিশীল সেই সাংস্কৃতিবান ভাই এবার মাওলানা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ান, অবস্হান নেন মাওলানার বিরুদ্ধে সেও সময়ের শক্তহাত চেপে ধরে কঠিন হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন, এরা ইসলামের শত্রু, মানুষ জবাই করে,রগ কেটে দেয়, বোমাবাজি করে! এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে!!
বাবা মায়ের সেই স্বপ্নের ঘরে সময়ের স্যাতস্যাতে শিক্ষার আবহাওয়ায় ঘুন পোকা বাসা বেঁধে ক্ষয় করে ধীরে ধীরে! কিছুতেই যেন রোধ করা সম্ভব হয় না!
নির্ঘুমে রাত কাটে অসহায় বাবা মায়ের!
এই সন্তানদের বড় করতে যেয়ে কত কস্টই না পোহাতে হয়েছে! রোদে পুঁড়ে,বৃস্টিতে ভীজে পায়ে হেঁটে অফিস করেছে! শুধু ছোট্র একটি স্বপ্নকে আঁড়কে ধরে! আজ সেই স্বপ্নই দু:স্বপ্নে রুপ নিয়ে অন্ধকারে ঢেকে গেলো জীবনের আঙ্গিনা!!
আজ অসহায় বাবা, মা অশ্রুজল শুকিয়ে গেছে প্রগতিশীল সমাজ ব্যবস্হায় মানবতা ও সাম্যবাদের জয়গানে উল্লসিত ছিল যে যুবক, রাস্তার পাশে ক্ষত-বিক্ষত নিথর দেহটাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় কুকুরেরা!.!ইসলাম রক্ষার্থে মৌলবাদীরা তাকে পাঠালো পরপারে…!!
যে সন্তানকে একদিন বুকে আগলিয়ে বড় করেছে….
আজ সেই সন্তানই লাশ হয়ে কাঁধে ঝুলছে! পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা নাকি পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ!
এ বোঝা সইবার ক্ষমতা যেন নাই।
এবার বাবা মায়ের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে! শেষ হয়ে গেল জীবনের সব! সহায় সম্বল বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল পড়াতে! চোখের সামনে পরে আছে সেই আদরের সন্তানটি! যেন তাকাতে পারে না ভেসে ওঠে শৈশবের সেই দিন গুলি কত স্বপ্ন আর আশা নিয়ে এক একটি দিন অতিবাহিত করেছে কবে ছেলে স্কুলের কোরিডোর পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা রাখবে! কবে একদিন মানুষের মত মানুষ হয়ে ফিরে আসবে বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোঁটাতে!!
কত না স্মৃতি ভেসে ওঠে….!
এই দু:খ, কস্টের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আরেক ধাক্কা লাগলো বুকের ঠিক মাঝ খানে! জীবনের বড় স্বপ্ন স্বাদ যেন মুছে গেল নিমিষেই! হারিয়ে গেল জীবনের সব আনন্দের আলেখ্যন! হৃদয়ের অলিন্দে শুধুই বেদনারা কস্টের সানাই বাজায়…..দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যায় ভেতর টা…. কত স্বপ্ন দেখেছিল ছেলেটি মাওলানা হয়ে নাম করবে তার উছিলায় বাবা মায়ের ও জান্নাতে যাওয়ার ব্যবস্হা হবে কাল হাশরে!
আজ কেন এমন হলো, পুলিশের বন্দুকের গুলিতে ঝাঝরা হয়ে গেছে দেহটা! ইসলামের শত্রু জঙ্গি নিধনের টার্গেটে এবার শেষ ভরশার প্রদ্বীপ নিভে গেল….! বাবা মা নির্বাক! ভাষা হারিয়ে ফেলেছে…. সন্তান হারালো, সমাজের অপবাদে বেঁচে থাকাও দূর্বিষহ হয়ে উঠলো জীবন! কত যত্নকরে লালন পালন করেছে সন্তানকে, কতরাত ঘুমায়নি মা! সারারাত জেগে জেগে ছেলের শীয়রে বসে সূস্হতার সেবায় বাসি ফুলের নুইয়ে গেছে মা! আজ সেই আদরের মানিক কে একটু হাত বুলাবে সেই সাধ্য নেই! এমনকি লাশ নিতেও ও অপারগ! সমাজের লোক জঙ্গির বাবা মা অপবাদে বিষিয়ে তুলবে!! বোবা কান্না কেউ শোনেনা!! আকাশের দিক তাকিয়ে বাবা মায়ের দিন কাটে। জীবনের শেষ কোথায়!
জীবনের গল্প এখানেই শেষ হলো।
আমাদের এই সমাজ ব্যবস্হায় কেন এমন হয়?
এর জন্য দ্বায়ী কে? সন্তান? নাকি বাবা মা? নাকি আমাদের সমাজ ব্যবস্হা?
এই দু সন্তানের মৃত্যুর জন্য দ্বায়ী কে? সমাজ, নাকি রাস্ট্র,নাকি সামাজিক ব্যবস্হা নাকি বাবা, মা?
ভেতরে ভেতরে সমুদ্রের তলদেশের মত ওলট পালট ঘটে!!সঠিক উত্তরের অপেক্ষায় নিজের সাথে নিজের প্রতি নিয়ত যুদ্ধ হয়!
সমাজের মানুষ গুলো নিজের মত করে ব্যাখ্যা দেয় কিন্ত আশ্বস্ত হতে পারিনি আজও……..! !!
———-তুহিন মাহমুদ
২৫ অক্টোবর মিলান,ইতালি!!

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (সকাল ১০:৪৪)
  • ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

Exchange Rate

Exchange Rate EUR: বৃহঃ, ২৫ এপ্রি.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 / +8801920733632

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।