মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশে নানা অপরাধে সাজা ভোগ করে আসা ২১৯ জনকে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাতার, কুয়েত ও বাহরাইন থেকে আসা এই বাংলাদেশিরা ঢাকার দিয়াবাড়িতে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ছিলেন।
শনিবার তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হলে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে তুরাগ থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন জানিয়েছেন।
কারাগারে পাঠানোর কারণ জাতে চাইলে তিনি বলেন, “তারা ওই তিনটি দেশে বিভিন্ন অপরাধে সাজা ভোগ করেন। সাজা ভোগ শেষ হওয়ার পর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
“১৪ দিন তারা কোয়ারেন্টিনে ছিলেন, তা শেষ হওয়ার পর তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।”
শুরুতে আশকোনার হজ ক্যাম্পে সেনা ব্যবস্থাপনায় রাখা হত বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশিদের, পরে দিয়াবাড়িতেও হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার (ফাইল ছবি)
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল জানান, এদের মধ্যে কাতার থেকে আসেন ১৪১ জন এবং কুয়েত ও বাহরাইন থেকে ৩৯ জন করে এসেছেন।
ওই সব দেশে তারা কী কী অপরাধ করেছিলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে কিছু তারা জানতে পারেননি
“তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
পুলিশ কর্মকর্তা নাবিদ বলেন, ২১৯ জনের মধ্যে কারও কারও পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। কারও পাসপোর্টই ছিল না।
তারা কীভাবে ওই সব দেশে গিয়েছিলেন, তাদের প্রকৃত পেশা কী, তাও জানার চেষ্টা করা হবে বিলে জানান তিনি।
“`আমরা তো কেবল তাদের পেলাম, সব কিছু জানতে একটু সময় লাগবে।”