প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতে পবিত্র ঈদ উৎসব পালিত হচ্ছে। সোমবার সকালে কলকাতার রেড রোডে এশিয়ার বৃহত্তম নামাজে অংশ নিয়ে ছিলেন বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ। এদিনের রেড রোডের ইদের নামাজে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রেড রোডের ঈদ জামাতে গিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। মমতা বলেন, “সবাই এক হয়ে থাকুন। দেখবেন কোনও অপশক্তি আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ তৈরি না করতে পারে।” কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও ধর্মপ্রায় মানুষ এসেছিলেন রেড রোডের নামাজে অংশ নিতে। এমনকি কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ঐতিহাসিক রেডরোডের ঈদ জামাতে শরিক হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। রেড রেড ছাড়াও জাকারিয়া স্ট্রিটে নাখোদা মসজিদ, ধর্মতলার টিপু সুলতান মসসিদ, দক্ষিন কলকাতার টিপু মসজিদে রাজ্যের বড় বড় নামাজ অনুষ্ঠিত হযেছে। সারা রাজ্যেই ছোট বড় সব মসজিদে মানুষ নামাজে অংশ নিয়েছেন। সরকারি সুত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ২৩ জেলার ১২০টি স্থানে এবার ঈদের জামাতে অসংখ্য মানুষ শরিক হয়েছেন।এরপর থেকে শুরু হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালঅ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই শুভেচ্ছা বিনিময়ে আন্তরিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। তবে এবার দার্জিলিংয়ে ঈদ উদযাপনে তেমন উৎসাহ ছিল না। গত এক সপ্তাহের বেমি সময় ধরে দার্জিলিংয়ে চলছে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। সোমবার যদিও সেই বনধে ১২ ঘন্টার জন্য শিথিল করার গোষনা দেওয়া হয়েছে তবে এবার দার্জিলিংয়ের মুসলমানরা প্রযোজনীয় কোনও কেনাকাটাই করতে পারেন নি টানা বনধের জন্য। তবে ঈদ উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন, কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রমুখ। রাষ্ট্রপতি ট্যুইটারে লিখেছেন, এই উৎসব খুশি, শান্তি ও উন্নতি বয়ে আনুক। সবাই যেন নিজেদের মানবিকতার জন্য নিজেদের সমর্পণ করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, এই শুভ দিনটি যেন সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ়করে। তিনি আরও বলেছেন, এই উৎসব খুশি ছড়িয়ে দিক এবং দেশ এগিয়ে যাক। বৈচিত্র্যই ভারতের বিশেষত্ব এবং শক্তি।