অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পুরোহিতসহ মুক্তমনা লেখক ও বিশেষ ব্যক্তিদের গুপ্তহত্যার প্রতিরোধ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ জোরদার করতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ’র সভাপতিত্বে বিশেষ আইন শৃংখলা ও মতবিনিময় সভা বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়, জসীম সরদার, ঢাকা উত্তর হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যাপক ড. নীলকান্ত বেপারী, অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়, গৈলা মনসা মন্দির উন্নয়ন ও সংরক্ষণ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারক চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক দুলাল দাশগুপ্ত, আগৈলঝাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সম্পাদক বিপুল দাস, শিক্ষক অমিয় লাল চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার, সোয়েব ইমতিয়াজ লিমন, আওয়ামীলীগ নেতা রবীন্দ্র নাথ হালদার, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র নাগ, পুলিশের এসআই এনামুল হক প্রমুখ। সভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণের বরাত দিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা কতদিন বাংলাদেশে থাকতে পারব? বন্ধু দেশ ভারতের কথায় শুধু ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে নিরাপত্তা দিলেই কি সংখ্যালঘুরা নিরাপদ? অধিকাংশ গুপ্তহত্যা হলে আইএস দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রকাশ করে, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দেশে কোন জঙ্গি সংগঠন নেই। তাহলে যারা এসব হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে সরকারের উচিত তাদের ধরে চিহ্নিত করা।
ওই সভায় সকল মন্দিরের পরিচালনা কমিটি, পুরোহিত, গীর্জা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের সচেতন করার পাশাপাশি তাদের তালিকা করে প্রশাসনের কাছে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অপরিচিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানানো হয়।