অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় গত ১৫ বছর ধরে এসি (ল্যান্ড)-র পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের জনগণ তাদের জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতায় বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ বছরের পর বছর কর্মকর্তাহীন থাকায় সংশ্লিষ্ট অফিসের কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ কর্মচারীরা অবৈধ অর্থ আদায়ে বেপরোয়া হয়ে অফিসটিকে অনিয়মের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছে। কর্মচারীরা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ফলে বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত ভূমি মালিকরা। ফলে জমি সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে এ উপজেলার সাধারণ জনগণ। বর্তমানে ভুমি জরীপ চলমান থাকায় ভিপি সংক্রান্ত সমস্যায় জনগণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। সর্বশেষ এসি (ল্যান্ড) হিসেবে ১৯৯৯ সালের ১১ এপ্রিল যোগদান করেন মীর খায়রুল আলম। তিনি ২০০১ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর পদোন্নতি পেয়ে অন্যত্র চলে যাবার পর থেকে এ পদে আর কোন কর্মকর্তা আগৈলঝাড়ায় যোগদান করেননি। ২০০১ সালের ৯ জুলাইর পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই এসি (ল্যান্ড) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নির্বাহী কর্মকর্তারা উপজেলা প্রশাসনের প্রধান ব্যক্তি হওয়ায় বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে সময় দিতে না পারার সুযোগে ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহজ সরল জনগণকে জিম্মি করে নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে অবৈধ পন্থায় প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ২০০২ সাল থেকে চলা ভূমি জরীপ কাজের জন্য একাধিক ভিপি তালিকার অজুহাতে সার্সিং-এর নামে হয়রানির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা ছাড়া কোন কাজই হয়না অফিসে। একারণে ভূমি সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের জনগণ তাদের জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতায় বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এব্যাপারে এসি (ল্যান্ড)-র অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, এসি (ল্যান্ড)-র জন্য স্থানীয় এমপি ডিউলেটার দিয়েছেন। কারোর বিরুদ্ধে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।