যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেনকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
৩ দিনের সফরে রোববার নিউ ইয়র্কে অবতরণের পরই প্রবাসীদের শুভেচ্ছা পান তিনি, জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরেও প্রবাসীদের সমাগম ঘটে।
স্থানীয় সময় রোববার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বেলোজিনো পার্টি হলে সংবর্ধনা সমাবেশের আয়োজন করে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখা’।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার মনসুর এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া।
সাংবাদিক-মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার ও ‘চট্টগ্রাম সমিতির’ সাধারণ সম্পাদক আশ্রাব আলী খান লিটনের সঞ্চালনায় শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ক্রেস্ট দেয় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই প্রবাসীদের আরো বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। এজন্য সুযোগ-সুবিধারও সম্প্রসারণ ঘটানো হয়েছে।”
বর্তমান সরকারকে ‘প্রবাসীবান্ধব’ সরকার উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “৩০ ডিসেম্বরকে প্রবাসী দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রবাসীদেরকে আরো বেশি দেশমুখী করতে বর্তমান সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। তাদের অভিজ্ঞতাকেও সরকার কাজে লাগাতে চায়। তাই নিজ নিজ এলাকার দূতাবাস-মিশন-কন্স্যুলেটের সঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন।”
রোহিঙ্গাদের নিজ বসতভিটায় ফিরে যাবার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রবাসীরা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেন সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য।
নিউ ইয়র্কে নিজস্ব ভবনে ‘বাংলাদেশ কন্স্যুলেট’ অফিস স্থাপন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শুধু নিউ ইয়র্কে নয়, ৭৮টি দেশেই দূতাবাস বা মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে নিজস্ব ভবনে মিশন এবং স্থায়ী প্রতিনিধির বাসভবন কিনেছি। এরপর প্রতি বছর বাংলাদেশের ৪৫ হাজার ডলার করে সাশ্রয় হচ্ছে।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, সহ সভাপতি আবুল বাশার চুন্নু, ফোবানার নির্বাহী সচিব জাকারিয়া চৌধুরী, ৩৩তম ফোবানার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক নার্গিস আহমেদ ও সদস্য সচিব আবির আলমগীর।
এর আগে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ বিজনেস অ্যালায়েন্স’ এর পক্ষ থেকেও মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার’, ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ’ এর ব্যানারেও দুটি সংবর্ধনা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৮ ও ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং কংগ্রেসের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকে করতে যুক্তরাষ্ট্র এসেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিউ ইয়র্কের সব কর্মসূচিতেই মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।