জাকির সিকদার,সাভার,ঢাকা, রিপোর্টার : সাভার ও আশুলিয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬টি দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা এ সময় লুটে নিয়েছে নগদ অর্থসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। একই সময়ে ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এ সব ডাকাতির ঘটনায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই থানায় মামলা হয়নি। ডাকাত কবলিত অনেকে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। একটি কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত জেগে এলাকায় পাহারা দিচ্ছে স্থানীয়রা। বুধবার গভীর রাতে সাভারের হেমায়াতেপুর বাসস্ট্যান্ড নৈশ প্রহরীদের হাত-পা বেধে বেবী মটরস নামের একটি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতরা লুটে নিয়ে গেছে নগদ টাকাসহ প্রায় বিশ লক্ষ টাকার মালামাল। দোকান মালিক ওমর ফারুক জানান, ভোর রাতে মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীদের হাত পা বেধে তার দোকানের ৫টি তালা ভেঙ্গে ডাকাতররা ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা দোকানে মজুত রাখা শতাধিক গাড়ির টায়ার ও ১০টি তেলের ড্রামসহ প্রায় বিশ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে সাভার পৌরসভার কারারুদ্ধ মেয়র আলহাজ্ব মো: রেফাত উল্লাহর বাসায় কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণ, দুটি ল্যাপটপসহ ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় ডাকাতরা। ডাকাতদের হাতে আহত হয়েছে পৌর মেয়রের স্ত্রী সাবিনা বেগম, পুত্র সাব্বির ও কন্যা রিমিসহ ৩ জন। এ ঘটনায় থানায় মেয়রপুত্র সাব্বির মামলা করার জন্য থানায় গেলে পুলিশ তার মামলা নেয়নি বলে জানান সাব্বির।
একই দিন আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। মায়া-মিঠু ফ্যাসন লিঃ নামের এ পোশাক কারখানায় দোসাইদ এলাকার পশ্চিমপাড়া মহল্লায় অবস্থিত। মায়-মিঠু ফ্যাসন লিঃ গার্মেন্টেসের মূল ফটকের দেওয়াল টপকিয়ে ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত ভেতের প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা ওই কারখানার সকল নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি বেধে ফেলে। পরে ডাকাতদলের সদস্যরা কারখানার গুদাম থেকে একটি ট্রাকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের কাপর নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি চুরি মামলা হয়েছে।
একটি কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত জেগে এলাকায় পাহারা দিচ্ছে স্থানীয়রা। বিষয়টি নিশিচত করে সাভার মডেল থানার (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, ডাকাতির ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।