জাকির সিকদার : সাভারে অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৮ ঘন্টা অভিযান শেষে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় বংশী নদী থেকে মনির (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের লাশ গতকাল রবিবার বিকেল ৪টার দিকে লাশটির সন্ধান পায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল। নিহত কলেজ ছাত্র মানিকগঞ্জের পরশ আলীর ছেলে ও খান বাহাদুর কলেজের ছাত্র ছিল। পুলিশ জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থেকে স্থানীয় পরশ আলীর ছেলে মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনিরকে (২০) অপহরণ করে বাদশা নামের এক প্রতিবেশী চাচা। পরে মোবাইল ফোনে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এ সময় অপহরণকারীদের টাকা দিতে দেরী হওয়ায় অপহরণকারীরা কলেজ শিক্ষার্থী মনিরকে সাভারের বংশী নদীতে একটি ট্রলারে নিয়ে হাত-পা বেধে রানা প্লাজার ধংসের পাথর-ইট দিয়ে বেধে মনিরকে জীবন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হলে শনিবার ভোরে মানিকগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ ও সাভার মডেল থানা পুলিশ। পরে দুই অপহরণকারীকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার বিকেলে বংশী নদীতে লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে শনিবার রাত আটটা পর্যন্ত তাদের লাশ উদ্ধার চেষ্টা করলেও পারেনি পুলিশ। গতকাল রবিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশী চালিয়ে বিকেল চারটার দিকে কলেজ শিক্ষার্থীর শরীরে পাথর ও ইট বাঁধা লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের দল। এসময় আরও এক কলেজ শিক্ষার্থী মুন্নার লাশ উদ্ধারে তল্লাশী চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এছাড়াও আরও এক কলেজ শিক্ষার্থী মুন্নার লাশ উদ্ধারে তল্লাশী চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। একইভাবে ১৯ দিন আগে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুন্নাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে অপহরণকারীরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম বলেন, অপহরণকারীরা প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে দুই কলেজ ছাত্রকে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এক কলেজ ছাত্রের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বদিরাম মন্ডল বলেন, অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধলেশ্বরী নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধারের জন্য তাদের একটি দল অভিযান শুরু করেছে। নদীতে শ্রোত বেশী থাকায় লাশ খুঁজে পেতে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়াও অপর কলেজ ছাত্রের লাশটি উদ্দারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।