ডেস্ক নিউজ: ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গৃহকর্মী শহীদুল ইসলাম শহীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
বুধবার রাত পৌনে দশটায় এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র নতুন সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন শহীদুল। কিন্তু তা খারিজ হওয়ায় কারাবিধি অনুযায়ী আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর হলো।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন। পরদিন শাজনীনের বাবা লতিফুর রহমান গুলশান থানায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন।
একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে সিআইডি।
তদন্ত শেষে প্রথম মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-১ এবং দ্বিতীয় মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুটি মামলাতেই আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
পরে ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য মামলাটি হাইকোর্টে যায়। একইসঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন চার আসামি- হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। আপিলে তারা খালাস পান।