রাজাপুর(ঝালকাঠি)প্রতিনিধিঃ প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ভয়াবহতা আজও ভুলতে পারেনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। আট বছর পার হলেও প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ রাজাপুরের নদীতীরবর্তী বিধ্বস্ত বেড়িবাধগুলো এখনো নির্মান করা হয়নি। ফলে কৃষকসহ নদী তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ পানির সাথে যুদ্ধ করে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অপরদিকে দূর্যোগ প্রবণ এলাকায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার না থাকায় এখনো দূর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে নদী তীরবাসী।
২০০৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে রাজাপুর উপজেলায় ১৭জন মৃত্যু বরন করেন। এ সময় রাজাপুরের বিষখালি নদী তীরবর্তী প্রধান রক্ষাবাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর আট বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা নির্মান করা হয়নি। ফলে রাজাপুরের মঠবাড়ি ও বড়ইয়া ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম নিয়মিত প্লাবিত হয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া ফসলের মাঠে পানি প্রবেশ করে প্রত্যেক মৌসুমে শতশত হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কোন কোন জমি চাষাবাদের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কৃষকসহ এলাকাবাসীর চরম দাবীর মুখেও আজও এই এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মানের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়াও নদীতিরবর্তী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মালেক কলেজ ঘূর্নিঝড় সিডরের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় যা আজঅবধি মেরামত করা হয়নি।
অপরদিকে নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার। ফলে ভবিষ্যত বড় কোন দূর্যোগে জানমালের নিরাপত্তা অনেকটাই অপর্যাপ্ত রয়ে গেছে এই জেলেপাড়ার অসহায় জনগোষ্ঠি বসবাসকারি জনপদে। এমনকি দূর্যোগ মোকাবেলা বা আগাম সর্তকর্তা বার্তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে নেই কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক রবীন্দ্রশ্রী বড়–য়া বলেন, ‘আমি ওইসব এলাকা পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে বিষখালি নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মানে জন্য সকল কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সুফল আসবে।’