মিজানপনা, রাজাপুর(ঝালকাঠী) থেকেঃ ঝালকাঠির রাজাপুর সদর উনিয়ন পরিষদ
উপ-নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্ধ পেয়ে ভোট যুদ্ধের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন
আওয়ামীলীগের ৫ প্রার্থীর মধ্যে দিমুখী লড়াই চলছে । ৭ সেপ্টেম্বর রাজাপুর
উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিক বরাদ্ধের জন্য ৬ প্রার্থীই স্ব-শরীরে
উপস্থিত হয়ে লটারী ছাড়াই সমাজোতার মাধ্যমে প্রতিক বরাদ্ধ নেন । প্রতীক ও
ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন -মোঃ তাজুল ইসলাম কাজল শরীফ(টেবিল
ফ্যান), মোঃ সিরাজুল ইসলাম দুলাল(অটোরিক্সা), আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন
মজিবর মৃধা(ফ্রিজ), মোঃ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ সুমন(তাল গাছ) ও মোঃ
মাসুদ করিম খান মিঠু(ঢোল)। এর আগে ৮জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও ৬
সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন
পত্র প্রত্যাহার করে নেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত এ
নির্বাচনে ৫ প্রার্থীই আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসাবেই ভোট যুদ্ধের
লড়াইয়ে নেমেছেন। প্রার্থীরা আওয়ামীলীগ সমর্থিত হওয়ায় জটিল আকারে এ
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত উত্তাপ তেমনটি দেখা যাচ্ছেনা। গত ৩১ জুলাই
রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আঃ
ওয়াহেদ মৃধার মৃত্যুতে সদর ইউপি চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়।
রাজাপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নে বিএনপি’র শক্তঘাটি থাকলেও বর্তমান রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপট- দেশের বিভিন্ন নির্বাচনের হাল চাল ও অল্প কিছু দিনের জন্য এ
উপ-নির্বাচন তাই বিএনপি অংশ গ্রহন করেনি বলে জানা গেছে। প্রার্থীদের
মধ্যে মোঃ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ’র (তাল গাছ)প্রতিকে নির্বাচনী মাঠে কোন
পোষ্টার কিংবা কোন ধরনের প্রচারনা দেখা যাচ্ছেনা, নির্বাচনী মাঠে
প্রার্থীদের মধ্যে- মোঃ সিরাজুল ইসলাম দুলাল ২০০৯ এর উপজেলা নির্বাচনে
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধিতা করে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলো। তাজুল
ইসলাম কাজল শরীফ গত ইউপি নির্বাচনে রাজাপুর সদর ইউনিয়নে প্রতিদন্ধিতা করে
আঃ ওয়াহেদ মৃধার কাছে হেরে যান। আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা
নির্বাচনী মাঠে এই প্রথম।এ উপ-নির্বাচন নিয়ে এখন চায়ের দোকান,
রেষ্টেুরেন্ট, বাস ষ্টান্ডসহ রাজাপুরের সব জায়গাতেই আলোচনা, কে আসবে এই
অল্পদিনের জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে ? কে দিবেন
গুরুত্বপুর্ন ৩নং রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্ব ? তবে এখন পর্যন্ত
জনমত জরিপে বেরিয়ে এসেছে লড়াই ত্রিমুখি হলেও গত নির্বাচনে তাজুল ইসলাম
কাজল শরীফ দ্বিতীয় হওয়ায় সাধারন ভোটার তাকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন বলে
অভিমত পাওয়া গেছে। তবে হাবটা হাবটি লড়াই হবে বলে জনগনের আশা আকংখা
শিরাজুল ইসলাম দুলাল এর সাথে । চায়ের দোকান রিক্সা কিংবা নসিমনের
যাত্রীদের মুখে মুখে আনোয়ার হোসেন মজিবুর মৃধার প্রচারনার সুনাম যথেষ্ট ।