এক ভাই জানতে চেয়েছেন কুয়েত বেড়াতে কি করে আসা যায়। প্রথম কথা কুয়েত বেড়াতে আসাটা পয়সার শ্রাদ্ধ। এটা ট্যুরিস্ট স্পট নয়, তাই পর্যটক টানার জন্য আকর্ষণীয় কিছু নেই।তবু বলি, এখানে কর্মরত কোন ব্যক্তির রক্তসূত্রে আত্মীয় হলে ভিজিট ভিসায় আসতে পারেন।চাকরির বা ব্যবসার ট্যুর করতে মাল্টি এন্ট্রি বিজনেস ভিসা পাবেন। আর ঘুরতে এলে হোটেল বুক করে ভিজিট ভিসায় আসতে হবে। খরচপত্র আমি জানিনা, এজেন্টরা বলতে পারবেন।
উপমহাসাগরীয় যুদ্ধের পর এখানকার দুটো গপ্পো বলি। একটা কর্তার সহকর্মীর কাছে শোনা। আরেকটি কর্তারই অভিজ্ঞতা।
গল্প ১
উনিশশ বিরানব্বই। যুদ্ধ সবে থেমেছে। কেরালার এক ভদ্রলোক এখানে জয়েন করেছেন। রোজ সকাল ছটায় অফিসের গাড়ির জন্য মোড়ের মাথায় অপেক্ষা করেন। রাস্তার যে কোণটায় দাঁড়ান, সেখানে একটা বালির ঢিবি। অপেক্ষার পাঁচ সাত মিনিট রোজ আনমনে সেই ঢিবিটায় পা দিয়ে খোঁচা দেন, ঠেলা দেন।
একদিন অফিস যেতে একটু দেরি। এসে রাস্তার সেই কোণায় দেখেন জটলা। ঢিবিটা উধাও। উত্তেজিত সুইপার লেবাররা কি সব ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে জোর ঝগড়া করছে।
ভদ্রলোক একে তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন ভ্যাট পরিস্কারের গাড়ির ধাক্কায় ঢিবিটা ভেঙে গেছে। আর ঢিবির ভিতর থেকে চামড়ার ছোট্ট একটা এটাচি বেরিয়েছে। সেটা খুলে সবার চোখ কপালে। এটাচির ভিতরে থরে থরে সোনার বিস্কুট সাজানো।
কোন বেরসিক এরই মধ্যে পুলিশে খবর দিয়ে দিয়েছে। পুলিশ এসে এটাচি এবং কোন্দলমান সবাইকেই তুলে নিয়ে গেল।
ভদ্রলোক কাহিনীটা শেষ করেছিলেন এই বলে “ভাবী, দুমাস ধরে আমি কেবলই নিজের ভাগ্যকে লাথি মেরেছি”।
গল্প ২
কর্তা একবার মাটির নিচের একটা পরিত্যক্ত পাওয়ার হাউজে ঢুকেছেন ইরাকি তান্ডবের পরে সেটা কি অবস্থায় রয়েছে, চালু করা যাবে কিনা দেখতে।
টর্চ লাগানো হেলমেট পরে সাবমেরিনের মত গোল দরজা দিয়ে কোনোক্রমে গলে নিচে পা রাখতে গিয়ে দেখেন দুটো ইয়া মোটা বিশাল সাপ পাহারা দিচ্ছে। মরুসর্প ভারি বিষাক্ত হয়।
সেই দেখে যেই ভয় পেতে যাবেন, চোখ পড়ল মাটিতে। গোল গর্ত ধরে ঝুলন্ত অবস্থাতেই চোখ কপালে তুলে দেখেন মাটিতে ভর্তি মাইন বিছানো। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রবে বোম বোম করে চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটতে ছুটতে কর্তা মশাই পগার পার।
অ্যান্টি বম্ব স্কোয়াড এসে দেখে বলল একটু পা লাগলেই মাইনগুলো ফেটে সারাটা এলাকা উড়ে যেত।
লেখক:
গার্গী চক্রবর্তী (ভারত)
চলবে……