আমার মন্ত্রীটা খেয়ে বাবা বলেছিলো,
বুঝলি অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট পলিসি
কতই আর বয়েস হবে তখন? সেভেন কি এইট…
সেদিন খেলায় হারার পর অন্য ঘরে লাইট নিভিয়ে খুব কেঁদেছিলাম
হেরে যেতে তখন বড্ড ভয় পেতাম শ্রী, বড্ড…
কেবল ওই একটা কথা বেশ মনে ধরেছিলো আমার,
যে কোনো বেমানান সিচুয়েশনেও যখনই হেরে যেতাম বা কষ্ট পেতাম,
মনে মনে বলতাম,
অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট পলিসি…
সেবার স্কুলে হোমওয়ার্কের খাতা নিয়ে যাইনি,
অশোকবাবু খুব পেটালো সেদিন,
যতই বললাম অঙ্ক করেছি
কিন্তু আনতে ভুলে গেছি,
ততই পেটালো,
বললো,অজুহাত দিচ্ছিস!
ঠিক টিফিনে সুযোগ বুঝে স্যারের
সাইকেলের হাওয়া খুলে দিয়ে
সঞ্জয়কে বলেছিলাম, বুঝলি তো, অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট পলিসি।
তখন নতুন ভলি খেলা শিখছি,
উইঙ্গসে দাঁড়িয়ে কিছুতেই ঠিক করে বল ওঠাতে পারিনা,
বেশ কয়েকটা বল মিস্ করে দেওয়ার পর
ম্যাসার অমিতদা বললো,
জানোয়ার একটা…
মাসদুয়েক পর সেই অমিতদার এগনস্টে খেলে
ম্যাস করে ৩-০ জিতে বলেছিলাম,
অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট পলিসি….
রোজ দেখতাম ক্লাসের দেবলীনাকে,
কিছুতেই কিছু বলে ইঠতে পারছিলামনা,
এদিকে পড়াশুনো শিকেয় উঠেছে,
খোঁজ নিয়ে জানলাম
শনিবারের গানের ক্লাস করে একা বাড়ি ফেরে,
একদিন তার পথ আটকালাম,
দু’পাতা ভর্তি করে লেখা
একটা চিঠি দিয়ে বলেছিলাম,
পড়ে বলিস….
ন’টা বানান ভুল আছে বলে,
দেবলীনা চিঠিটা আমার
হাতে দিয়ে চলে গিয়েছিলো….
ঠিক সে বছরই স্কুলে বাংলায়
হায়েস্ট ৮৮ পেলাম
দেবলীনাকে মার্কশীট দিয়ে বললাম,
অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট পলিসি,
ও কী বুঝলো জানিনা,
হেসে বলেছিলো, নতুন একটা চিঠি লিখিস….।।