নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে নামীদামী রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে দেশের সর্বত্রে যতসব রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার প্রত্যেকটিতে যে, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি খুবই নাজুক পরিবেশ বিরাজমান; সেটি শুধুমাত্র দেশের সাস্থ্য সচেতন মানুষ’ই নয়;বোধকরি সর্বমহল এসম্পর্কে জ্ঞাত।
দেশের সবচেয়ে সুনামধন্য ও অন্যতম রপ্তানীকারক প্রতিষ্টান প্রাণ কোম্পানির নিজস্ব পণ্য প্রাণের বিভিন্ন ফুড খেয়ে যেখানে মানুষের প্রাণ রক্ষা করার কথা; সেখানে প্রাণ কোম্পানির ফুড খেয়ে দেশের অনেক মানুষের প্রাণহীন হয়েছে বলেও জানাগেছে।
আর দেশের ছোট ছোট শহর গুলোতে তো সাধারণ মানুষকে অসুস্থ্য করে তুলতে ও প্রাণহীন হওয়ার মতো পণ্য তৈরী করে চলেছে রেস্টুরেন্ট, মুদি দোকান ও ফুড কনফেকশনারি অহরহ।
তেমনি গত ২৬,০১,২০১৬ ইং তারিখে মৌলভীবাজার জেলা সদরে সুমা ফুডের পণ্য তৈরীর বেকারিতে গিয়ে দেখা গেলো চরম অসাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে তাদের নিজস্ব পণ্য।
প্রথমত,হট কিচিনে পণ্য তৈরী কালীন কারিগরদের অপরিস্কার পোশাক পরিধান সম্পূর্ণরূপে খাদ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলে ছিল (কিছু সংখ্যক বেকারির কর্মচারিদেরকে ধূমপানরত অবস্থায় পাওয়া যায়) ।দ্বিতীয়ত, কিছু পণ্য প্রস্তুত করা হয়েছে; অথচ সেগুলো সরাসরি মেঝেতে এলোমেলো পরিবেশে রাখা হয়েছিল, সামান্যতম কোনো কিছু দ্বারা ডেকে রাখা হয়নি। তৃতীয়ত, পণ্য তৈরী কালীন আশপাশের এলাকা ছিল অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন। চতুর্থত, বেশ কিছু পণ্যের গায়ে প্রস্তুত তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ছিলনা (ভিতরে ও বাহিরের ডিসপ্লেতে) এবং প্রচুর সংখ্যক মাছি পরিলক্ষিত হয়েছে।
উপরোক্ত খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম শৃঙ্খলা অনুসরণ না করার কারণে; ঐসব পণ্য খেয়ে সাধারণ মানুষরা শুধু অসুস্থ্য নয় অস্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উন্নত বিশ্বের দেশ গুলোতে খাদ্য প্রস্তুতকারক সকল প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করার জন্যে হেলথ মিনিস্ট্রি থেকে আকস্মিক লোক পাঠানো হয়ে থাকে।
বাংলাদেশেও ভ্রাম্যমাণ আদালত এহেন কাজটি করে থাকে। কিন্তু এখানে একটু ভিন্ন, বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত অনেক খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্টান পর্যবেক্ষণে যাওয়ার পূর্বেই সেই প্রতিষ্টানটি আগাম জেনে যায় যে, ভ্রাম্যমাণ আদালত আসছে তার প্রতিষ্টান পর্যবেক্ষণ করতে।
এদিকে সুমা ফুডের এই খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের কথা উল্লেখ করে মৌঃ বাজার বাসীর অনেকে গুরুতর অভিযোগ তুলেন। এবং সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ এব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মনোযোগ আকর্ষণ করে ত্বরিতগতিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিনীতভাবে অনুরুধ করেন।