এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বন্দকী জমির পাওনা টাকা না দিয়ে হালচাষ করতে গেলে পাওনাদার বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলায় পাওনাদার স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সুযোগ পেয়ে জমির গাছ কর্তন।
বীরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের ভাবকী গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ লাইলি বেগম গত শনিবার জানায়, প্রতিবেশী মৃতঃ চৈমুদ্দিন এর স্ত্রী শরিফা বেগমের নামে তরনীবাড়ী মৌজায় সরকারী খাস জমি পত্তন পায়। শরিফা বেগম ও তার পুত্র হাসিবুল ইসলাম স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়া ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২০ শতাংশ জমি আমার নিকট বিক্রয় করে দখল বুঝিয়ে দেয়। উক্ত জমিতে আমি ইউক্যালিপটাস, বাঁশসহ বিভিন্ন প্রজাতীর গাছাপালা লাগিয়ে চাষাবাদ করিতেছি। শরিফা বেগম মারা গেলে তার পুত্র হাসিবুল ও তার বউ রিনা বেগম স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়া হাওলাদ ও ২৫ শতাংশ জমি বন্ধক বাবদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নেয়। আমার টাকা ফেরত না দিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গিয়ে আমার জমি দখলের চেষ্টা করে। সংবাদ পেয়ে আমার স্বামী রবিউল, পুত্র আলমগীর সহ আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে বাধা দিলে পমির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল বাছেদ ওরফে ফকলেজ (৫৫) এর নেতৃত্বে হাসিবুল (৩৮), রিনা বেগম (৩২) সহ মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র মোমিনুল ইসলাম (৪৫), মোঃ মাসুম (২৪) আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার স্বামী ও আমি আহত হই। আমাদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগম, জমিনা বেগম, রফিকুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম আগাইয়া এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আমরা স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে সন্ত্রাসীরা উক্ত জমিতে আমার লাগানো বড়ছোট প্রায় ৮৫ হাজার টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায়।
এব্যপারে সরজমিনে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক সহ এলাকাবাসী পাওনা টাকার ঘটনা স্বীকার করেন।