আ,হ,জুবেদঃ অনুভূতি ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্যে বর্তমান বিশ্বের অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের এই স্বর্ণ যুগে ফেইসবুক একটি অত্যাধুনিক ও অনন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, একথা নিঃসংকোচে স্বীকার করতেই হয়।
তবে ফেইসবুক ব্যবহার কারীদের ইতিবাচক অর্জন এবং নেতিবাচক প্রভাব, নৈতিক অধঃপতন এসব নিয়ে আর কজন’ই বা ভাবেন।
ফেইসবুক আমাদের কতটুকু প্রযুক্তি কিংবা সুবিধা দিচ্ছে, সে হিসেবটাও সবার রাখা উচিত। প্রকৃত সত্য হচ্ছে ফেসবুক মূল ইউজার ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়েসী ছেলেমেয়েরা। ৩৫ বছরের উপরের মানুষজনের ফেইসবুক আসক্তি খুবই কম। বিভিন্ন জরিপে এটা স্পষ্ট যে এই বিশেষ বয়েসী মানুষদের কাছে ফেসবুকের রয়েছে অত্যন্ত বেশীমাত্রার জনপ্রিয়তা।
ফেইসবুক নিয়ে বিশাল কিছু লেখার ইচ্ছে আমার একেবারেই নেই,তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভীষণ উদ্বিগ্ন করেছে, এটুকুই শুধু বলতে চাচ্ছিলাম।
আসলে পৃথিবীর এই ক্ষণিক ঠিকানায় নানা ভাবে দৈনন্দিন চলমান ব্যস্ততম জীবন আমাদের কাটাতে হচ্ছে।
ফলে কেউ কাউকে যে’ এতটুকু সময় দেবে পরোপকারে; সেরকম সল্প সময়ও কারো হাতে নেই।
মূলত, আমরা সবাই ব্যস্ত যে যার আপন কর্মে প্রতিনিয়ত।
সত্যি অদ্ভূত এই জীবন, চেনা-অচেনার দেশে চলার পথে কতো অজানাকে জানা হয়; আবার পরক্ষণে কখনো দীর্ঘকালের সেই জানাকেও ভুলে যেতে হয়।
পিছে ফেলে আসা স্বর্ণালী দিনগুলো কতোই না সুখকর মুহূর্ত উপহার দিয়েছে; কিন্তু আমরা অকৃতজ্ঞ মানুষের ন্যায় ফিরেও তাকাইনা কভূ তার দিকে।
তবে সেজন্যে জীবন চলা যে থেমে আছে তা নয়; বিরামহীন এই জীবন চলছে অবিরত তার আপন গতিতে।
এদিকে এযুগের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগের অনন্য মাধ্যম ফেইসবুক ব্যবহারের মধ্যদিয়ে পৃথিবীকে খুব সহজে কাছ থেকে দেখা যায় যেকোনো জায়গায় বসে।
অথচ একদা যে কবি লিখেছিলেন ”থাকবো নাকও বদ্ধ ঘরে দেখবো এবার জগতটাকে”………. তখনকার প্রেক্ষপটে সেই কবি তিনি পৃথিবী ঘুরে ঘুরে দেখার অভিব্যক্তিটিই উল্লেখ করেছিলেন তার সেই অমর কাব্যে।
অথচ যদি আজ অবধি সেই কবি জীবিত থাকতেন; তাহলে হয়তো আজকের প্রেক্ষপটে কবি ঠিক এরকম লিখতেন ” থাকবো আমি বদ্ধ ঘরে. হাসবো আমি মনের সুখে. ঘরেই বসে দেখবো আমি গোটা পৃথিবী সে হোক যতই দূরে”
অতএব, ফেসবুকের কল্যাণে আজ দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থার অনেক কিছুই সহজতর হয়েছে।
তাই আজকাল ফেসবুকের বিশাল গ্রহণযোগ্যতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই বলেন ফেসবুক তোমায় সালাম।