বিশেষ প্রতিনিধি : বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা মৌলভীবাজার গণমাধ্যমের আলোচিত সংবাদ। ৩০ মে মাঝরাত থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে মৌলভীবাজার শহরের বেশ কিছু রাস্তাঘাটে পানি উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, ভুগান্তি ও দূর্ভোগের শেষ নেই সাধারন মানুষের।কোমর পানিতে মানুষ হাবুডুবু খেতে দেখা গেছে। ছেলেরা রাস্তায় মাছ ধরছে। তলিয়ে গেছে শহরের ঘর বাড়ির নিচ তলা। রাস্তায় বেশ কিছু রাস্তায় আটকা পড়েছে রিক্সাসহ ছোট যান। শহরের টিবি হাসপাতাল রোড়,সার্কিট হাউজ এলাকা,পশ্চিম বাজাররোড,আরামবাগ ,সৈয়ারপুল,কলিমাবাদ,শান্তিবাগও দর্জীমহলসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ঘাট ঘুরে দেখা যায় কোমর থেকে বুক পর্যন্ত পানি উঠেছে। দ্রুত গতিতে পানি ডুকছে ঘরবাড়িতে নষ্ট হয়েছে মানুষের আসবাপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল।
অনেকের দোকানের পণ্যসামগ্রীতে পানি লেগে নষ্ট হয়েছে। অনেক মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারে নি জলাবদ্ধতার কারণে। শহরের বেশ কিছু এলাকায় ছোট যান রিক্সা, আটো যাতায়াত না করায় বেড়েছে চরম ভুগান্তি।রিক্সা ও অটো গাড়ী চালকদের মুখে হাসি নেই উপার্জন একেবারেই মান্দা। তবে আনন্দ পেয়েছে শিশুরা,রাস্তায় মাছ ধরেছে, তারা সড়কের ওপর পানিতে সাঁতার কেঁটে সুমিং পুলের স্বাদ মিটিয়েছে। শিশু শাহিন বলেন, বৃষ্টি হলেই জমা হয় পানি শহরে আমি প্রথম দেখেছি বেশ মজা করে সাঁতার কেটেছি।
সার্কিট হাউজ এলাকার এডভোকেট শামছূন নাহার বলেন, একটুখানি বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি, আশপাশের ঘরগুলো নিচ তলায় পানি, পোহাতে হয় চরম দূর্ভোগ। ড্রেনের ময়লা পানির কারণে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছে পানিবাহিত রোগে।
আকবর আলী বলেন, বৃষ্টি মানে দূর্ভোগ বাসার নিচ তালায় গলা পানি, প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বেশীর ভাল নষ্টের পথে এর থেকে মুক্তি চাই।
টিবি হাসপাতাল রোডে চরম দূর্ভোগ উপেক্ষা করেও যেতে হয়েছে বিভিন্ন রোগীকে হাসপাতালে। আর এলাকাবাসী যাতায়াত করছে ওপাড়ে একটি কাপড় ও এপাড়ে একটি কাপড় রেখে। কি করার আছে এখন, কে দেখবে এই দুঃখ। শহরের পশ্চিম বাজার এলাকার ঘর বাড়ি ও দোকান পাটে ডুকেছে পানি।শহরের গীর্জাপাড়ায় বসবাস কারী সাংবাদিক আ.হ জুবেদ বলেন, শহরে একটুখানি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে, বাড়ে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ, অবশ্যই এজন্য এক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে। তিনি বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেই অনেক আশার কথা, অবর্ণনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের কথা,এই তার চিত্র, বৃষ্টি হলেই বন্যা। সত্যিকার অর্থে কথা এবং কাজের কোন মিল নেই। গির্জাপাড়ার অবস্থা খুবই নাজুক।
এবং শহরের বিভিন্ন স্থানের ভিন্ন ভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষের একটাই দাবী, পৌর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি হলে এমন অকাল দূর্ভোগ ও দুর্যোগ দেখতে হতনা। শহরের মানুষ এমন অবস্থা দেখতে চায়না, মুক্তি চায় এই মহামারি রোগ হতে, তাই অতি দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে বের করুন।
পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন,শহরের সব ড্রেনই পরিষ্কার রয়েছে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। কোদালীছড়াও খনন করা হয়েছে। কিন্তু কোদালীছড়ার ভাটিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর অপরিকল্পিতভাবে দুটি সুইস গেইট নির্মাণ করায় পানি দ্রুত হাইল হাওরে নেমে যেতে না পারায় মৌলভীবাজার শহরে বার বার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। সুইস গেইট অপসারণের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।