এই চারজনের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন ও তার ভাগ্নে আলম চৌধুরীসহ তিনজন রোববার জামিনও পেয়েছেন। তাদের অপরজন হলেন মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় জঙ্গিদের বাসা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাড়ি মালিক নুরুল ইসলাম।
আগের দিন এ হামলার অপর এক সন্দেহভাজন তাহমিদ হাসিব খানকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধেও কোনো অভিযোগ আনেনি তদন্তকারীরা।
নতুন করে রিমান্ড আবেদনও হয়নি হামলার পরের সকালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি থেকে বেরিয়ে আসা তাহমিদের। তার সঙ্গে একইভাবে গ্রেপ্তার নর্থসাউথের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজাউল করিমকে অবশ্য গুলশান হামলার মামলায় প্রথম আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গিয়াসউদ্দিনসহ তিন আসামির আইনজীবী আরফান উদ্দিন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫৪ ধারা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাড়াটেদের সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬ ধারায় অভিযোগ দাখিল করা হয়। সেই অভিযোগেই তারা আজকে জামিন পেয়েছেন।”
তবে জামিন আবেদন না থাকায় গিয়াসউদ্দিনের বসুন্ধরার ফ্ল্যাট দেখভালের দায়িত্বে থাকা মাহবুবুল আলম তুহিনকে কারাগারে পাঠান মহানগর হাকিম ইয়াসির সাব্বির আহসান চৌধুরী।
গত ১ জুলাই গুলশান-২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ হামলাকারীসহ ছয়জন নিহত হন।
ওই হামলাকারীরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট এবং শেওড়াপাড়া এলাকার একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে।
বসুন্ধরার ওই ফ্ল্যাটের মালিক নর্থ-সাউথের উপ-উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহসান; ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন তার ভাগ্নে আলম ও ভবনের ব্যবস্থাপক তুহিন।
গত ১৬ জুলাই গিয়াসউদ্দিন, আলম ও তুহিনকে ওই হামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিনই রাতেই পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ায় জঙ্গিদের আশ্রয় নেওয়া বাসার মালিক নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ১৭ জুলাই গিয়াসউদ্দিনসহ চারজনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আট দিনের রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক।
রিমান্ড শেষ হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এতদিন কারাগারেই ছিলেন তারা।