সিলেট প্রতিনিধি:::: আর মাত্র কয়েকদিন পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। শেষ পর্যায়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপগুলো। মন্দির প্রাঙ্গণ ও পূজার স্থান, সাজসজ্জাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি কাজ চলছে পুরোদমে।
এবার সিলেটের ৫৬৭ পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হবে। গত বছরে থেকে এবার ৪টি পূজামণ্ডপ বেড়েছে।
সিলেট মহানগরীর ৪২টি মন্ডপের পাশাপাশি পারিবারিকভাবে তৈরি হয়েছে ২৯টি। এছাড়া জেলায় ৫০৫টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। গত বছরে মন্ডপের সংখ্যা ছিল ৫৬৩টি।
মহানগরী ছাড়াও এবার সিলেট জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৫টি, দক্ষিণ সুরমায় ২৭টি, বালাগঞ্জে ৫৯টি, জকিগঞ্জে ৯৩টি, কানাইঘাটে ২৯টি, গোলাপগঞ্জে ৬০টি, গোয়াইনঘাটে ৩২টি, ফেঞ্চুগঞ্জে ৩৭টি, বিয়ানীবাজারে ৫৪টি, জৈন্তাপুরে ১৯টি, বিশ্বনাথে ২৩টি এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হবে।
এদিকে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপের সভাপতি-সম্পাদককে প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নিয়ম-কানুন সম্পর্কিত বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা সমূহের মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য হলো- প্রত্যক পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের বাধ্যতামূলক ব্যাজ পরিধান, নারীপুরুষের প্রবেশ ও বহির্গমনে পৃথক রাস্তা রাখা।
এবার উল্লেখযোগ্য হলো – নবমী তিথীর দিনেই প্রতিমা বিসর্জন করা করতে হবে।
নবমী দিনে নবমী তিথী ভোরেই স্বল্প সময়ের জন্য শেষ হয়ে দশমী তিথী শুরু হওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জানিয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ওই দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আহবান জানানো হয়েছে। এসব নির্দেশনাকে সামনে রেখেই শুক্রবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভা আহবান করা হয়।
সভায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্যান্য সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনের সময় রং ছিটানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এছাড়া দূর্গাপূজা শেষ হওয়ার পরেই ঈদুল আযহা শুরু হওয়ার জন্য শান্তিশৃঙ্খলা সম্প্রীতির বন্ধনকে জোরালো করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃতৃঞ্জয় ধর ভোলা বিগত বছরের তুলনায় এবার ৪টি বাড়তি মণ্ডপে পূজা অনুষ্টিত হবে বলে জানিয়েছেন।
সিলেট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি ভট্রাচার্য্য অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে দূর্গা মায়ের পূজো পালনের সবাইকে আহবান জানাই।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত গুপ্ত অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় পুলিশ প্রশাসনের কার্যালয়ে সিলেট নগরীর নাইওরপুলস্থ সদর দফতরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।