স্টাফ রিপোর্টার।। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দেখা মিললো স্বস্তির বৃষ্টি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রবিবার (০১ মে) সন্ধ্যার পর কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ মার্চ চৈত্রের খরতাপের মধ্যে বৃষ্টির দেখা মেলে। এরপর প্রায় এক মাসে বৃষ্টিহীন থাকে দেশ। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের প্রথম অর্ধের প্রচণ্ড তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠে জন জীবন।
এ পরিস্থিতিতে রবিবারের সন্ধ্যার বৃষ্টি কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে জনজীবনে।
যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে, গত সপ্তাহ থেকেই আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এমন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে দেখা মিলে বৃষ্টি। জনমনে দেখা দেয় স্বস্তি।
এর আগেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড় ও বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রচণ্ড কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাস বাইছে। ঝড়ো বাতাস হয়েছে রাজশাহী ও ঈশ্বরদিতেও। এছাড়া যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হয়েছে।
দিনভর প্রচণ্ড তাপদাহের পর রাজধানীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করেই শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। ৫ মিনিটের মতো ধুলা ঝড়ের পর নামে বৃষ্টি। এতে কিছুটা শীতল হয়ে আসে আবহাওয়া।
যাত্রাবাড়ির গৃহবধু চম্পা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বাতাস শুরু হয়। এ সময় ঘরের জালানা খুলা থাকায় রাস্তার ধোলা-বালি ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি।’
মিরপুরের বাসীন্দা মনির হোসেন জানান, সন্ধ্যায় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি নামে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এই বৃষ্টি’র দেখে মন আনন্দে উদ্বেলিত হবে এটাই স্বাভাবিক।
মৌচাকের বসীন্দা ইমরান হোসেন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে জানান, হঠাৎ নামে বৃষ্টিতে মালিবাগ-মৌচাক রাস্তায় কিছু স্থানে পানি জমে গেছে। এতে রাস্তয় কিছুটা কাদার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশর বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। আগমীকাল সোমবারও সরাদেশে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গাতে ১০ মিলিমিটার, যশোরে ৫ মিলিমিটার ও ঈশ্বরদীতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
একই সময়ে রাজধানী ঢাকাতে ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে ঝড়ো হাওয়া হয়েছে ঘণ্টায় ৪৬ কিলোমিটার বেগে। আর ঈশ্বরদীতে ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, পাবনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত রয়েছে।