সাখাওয়াত হোসন সাখা::: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও প্রশাসনের তাড়া খেয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ-হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এর পরও বাল্য বিয়ে থেমে নেই। কখনো আনুষ্ঠানিকতা না করে গোপনে অপ্রাপ্ত মেয়ে কনে না সাজিয়ে নিরবে বরের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার কখনো কৌশলে চরাঞ্চলে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাল্য বিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাবিন রেজিষ্ট্রি করছে ইউনিয়ন পরিষদ ভুয়া জন্ম নিবন্ধন র্কাড সরবরা করে। আর কাজীরাও যাচাই না করে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে কাবিন রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন। প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা অভিযান চালিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ- করিয়ে দিলেও স্কুল ছাত্রীকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে না দিয়ে বাবা মা বিয়ে দিচ্ছে প্রশাসনের নজরদারীকে বৃদ্দাঙ্গুলী দেখিয়ে। এদিকে গত শুক্রবার উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দাঁতভাঙ্গা ডিসিরোড এলাকায় কপিল উদ্দিনের কিশোরী মেয়ে লিপি আক্তার (১৫) একই ইউনিয়নের ঝগড়ার চর গ্রামের মোবারকের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মো. ওয়াহিদুর রহমান (১৯) এর সাথে বিয়ে দিচ্ছে। ওই দিনে একই গ্রামের ছলিমের মেয়ে সুন্দরবালীর (১২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের টাপুর চর গ্রামের মৃত ফজর উদ্দিনের ছেলে মোয়াজেক হোসেন (২৮) সঙ্গে বিয়ের হয়ার কথা ছিল। পরে বর কনে সাজগুজ করে বিয়ের বিয়ের আগত অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছে এমন সময় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা (ভারঃ) শংকর কুমার বিশ্বাস ও সাংবাদিকের মাধ্যমে বিয়ের কথা জানলে সরেজমিনে গিয়ে ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা আরো বলেন, এ্যাফিডেভিট বা ভুয়া কাগজ তৈরী করে বাল্য বিয়ে পার পাওয়া যাবেনা।