ছাইয়েদুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি: নরসিংদী জেলা মনোহরদী উপজেলার রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে গত শুক্রবার পহেলা বৈশাখে শিক্ষার্থীদের টাকায় জাটকা ইলিশ মাছ সাথে পান্থা দিয়ে বেশ ঘটা করে মেহমানদারী করার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শান্তি রঞ্জন দাস, যিনি নিজেকে আ’লীগের অনেক বড় মাপের নেতা বলে দাবী করে থাকে। তিনি স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী তথা সরকার দলীয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়েছে পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খাবার জন্য। কিন্তু নেতা বলে কথা! শান্তি রঞ্জন দাস প্রধানমন্ত্রীর আহবানকেও অবজ্ঞা করেছে।
পান্থা ইলিশ দিয়ে এলাকার মামলাবাজ, ভূমিদস্যূসহ কতিপয় পাঁতি নেতাকে নিয়ে বেশ ভূড়ি ভোজন করেছে উদীয়মান নেতা শান্তি রঞ্জন। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত থাকাবস্থায় বিগত ৩ বছর যাবতই বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছোড়া চাপাতি দিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
এ সকল ঘটনা বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে পরিচালনা পরিষদের সম্পূর্ণ গাফিলতির একমাত্র ফসল এসব দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। অভিভাবকরা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ থাকা সত্বেও ভয়ে খুলছে না মুখ। তবে দেশ যে ভাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে শুধু সময়ের ব্যাপার এ সকল বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের।
বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর অধ্যাবদি পর্যন্ত শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে রাখতে পারেনি কোন ভূমিকা। জাটকা ইলিশ মেহমানীর পর পুরো রামপুর এলাকা টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। সবার মুখে মুখে একই কথা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া চাঁদার টাকায় আ’লীগ নামের ছত্রছায়ায় থাকা কতিপয় পাঁতি নেতাদের নিয়ে কিশের ভুড়ি ভোজন।
প্রবীণ আ’লীগ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর দাবী, পান্থা এবং জাটকা ইলিশ মেহমানদারীদের বিরুদ্ধে খতিয়ে দেখা উচিত। কেননা এরা প্রকৃত আ’লীগ কর্মী কি না তা এখন মূল প্রশ্ন। এছাড়াও দেখা উচিত বলে মনে করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাদের বুকে লালন করছে কি না। এ রিপোর্ট লেখা সময় পর্যন্ত এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই