খেলাধুলা ডেস্কঃ প্রথম তিন ম্যাচ এবং ফিরোজ শাহ্ কোটলায় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচের প্রথম তিন দিন এত ম্যাড়মেড়ে হবার পর চতুর্থ দিনটা যে টেস্ট ক্রিকেটপ্রেমীদের এত আনন্দ যোগাবে, তা কে জানতো? না, চার ছক্কার বন্যা হয়নি। হয়নি ব্যাটিং লাইনআপ চুরমার করে দেয়া কোন বোলিং প্রদর্শনীও। তবু, কোটলার চতুর্থ দিনের খেলা যারা দেখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের ‘ধীরস্থির’ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে তারা নিশ্চিতভাবেই অনেকদিন মনে রাখবেন এই ম্যাচটার কথা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিক কতোটা ধীরস্থির ছিল? উত্তরটা হচ্ছে- যতোটা ধীরস্থির থাকলে ৭২ ওভার ব্যাট করে ৭২ রান করা যায়, যতোটা ধীরস্থির হলে দিনের শেষ বিশ ওভারে ২৩ রান করা যায়।
ওভার প্রতি ১ রান, দলীয় সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭২! ভাবা যায়? ভাবা না গেলেও দিল্লী টেস্টে এটাই বাস্তবে মঞ্চস্থ হল। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচে ভারতীয় স্পিনে নাকানি চুবানি খেতে থাকা আফ্রিকানদের সামনে প্রায় ২ দিন বাকি থাকতে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৪৮১ রান।
যে পিচে ২০০ করাই মুশকিল সেখানে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জয়ের কথা তাই ভাবতেই পারেনি হাশিম আমলার দল। ম্যাচ বাঁচাতে তাই ক্রিকেটের আদিম যুগে ফিরে যাওয়া। মন্থর গতির ক্রিকেটের রেকর্ড করে দিন পার করেছে আফ্রিকানরা।
অধিনায়ক হাশিম আমলা অপরাজিত আছেন ২৩ রানে। এই ২৩ রান তুলতে তিনি খরচ করেছেন ২০৭টি বল। অপর প্রান্তে বিশ্ব ক্রিকেটের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাত এভিডি ভিলিয়ার্স অপরাজিত আছেন ১১ রান। মজার কথা হল ১১ রান তুলতে ভিলিয়ার্সের প্রয়োজন হয়েছে ৯১টি বল।
প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৩৩৪ রানের জবাবে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৬৭ রান তুলে প্রোটিয়াসদের অগ্নি পরীক্ষায় ফেলে দেয় বিরাট কোহলির ভারত।
সোমবার শেষ দিনে জয়ের জন্য ৪০৯ রান দরকার যদিও সেদিকে মোটেও খেয়াল নেই আমলা-ভিলিয়ার্সদের। আর ভারতের দরকার ৮ উইকেট। ৯০ ওভার থেকে বাকি ৮ উইকেট।
শেষ দিনে আর কত ধর্য্যের পরীক্ষা দেন প্রোটিয়াস ব্যাটসম্যানরা তাই এখন এই টেস্টের মূল আকর্ষণ।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই