আ হ জুবেদঃ কতটুকু কষ্ট পেলে একজন মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে, এটি শুধু ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রেই অনুমেয়।
ঠিক সেরকমই একজন ভুক্তভোগী কুয়েত প্রবাসী মোহাম্মদ ইসমাইল।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশী অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার কুয়েত প্রবাসী মোহাম্মদ ইসমাইল তার কোম্পানির ব্যারেকের তিন তলা বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আল-আহলিয়া কোম্পানিতে কর্মরত সেলিম আহমেদ নামের একজন প্রবাসী জানিয়েছেন, মোহাম্মদ ইসমাইল কুয়েতের আল-আহলিয়া কোম্পানিতে প্রায় দেড় বছর ধরে কাজ করে আসছিলেন।
কিন্তু গত ৪ মাস ধরে কোম্পানিটি তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করছিলনা।
পাশাপাশি আকামা জতিলতাও ছিল, বাৎসরিক আকামার পরিবর্তে ২/৩ মাসের এক্সটেনশন আকামা, অর্থাৎ সাময়িক আকামা লাগিয়ে চলেছে খোদ কোম্পানিরই কোনো না কোনো সমস্যার কারণে।
অন্যদিকে দেড় বছর আগে কুয়েতে আসা ইসমাইল বাড়িতে টাকা পাঠানোর চিন্তা করতেন, বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে ৮/৯ লাখ টাকার ব্যয়ভার এর পাহাড় সম ঋণের বোঝা নিয়েও চিন্তা করতেন।
আর এসব কিছু নিয়ে ইসমাইল ও তার দেশে থাকা পরিবারের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হতো।
কুয়েত প্রবাসী সেলিম আহমেদ বলেন, এসব কারণেই ইসমাইল আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও এর ইসমাইল প্রায় দেড় বছর আগে কুয়েত এসেছিলেন, এর পর নানা কারণে প্রবাসে পরাজিত এই রেমিটেন্স যোদ্ধা তার কোম্পানির ব্যারেকের তিন তলা বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বর্তমানে ফরওয়ানিয়া হাসপাতালের আইসিওতে ভর্তি চিকিৎসাধীন ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ প্রতিবেদক বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সাথে কথা বলে প্রবাসী ইসমাইলের আত্মহননের চেষ্টা ও হাসপাতালের ভর্তির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।