এন.আই.মিলন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ১০ দিন ধরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন প্রেমিক পলাতক রয়েছে।
উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের শালবাড়ী ডাবড়া গ্রামের মৃত কাসেম আলীর পুত্র বারুলিয়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নুরল ইসলাম নুরুর সাথে পাশের গ্রাম ডাবড়া জীনেশ্বরীর আক্তার আলীর মেয়ে ফাতেমার ভাললাগা থেকে ভালবাসা ও প্রেম হয়। দীর্ঘ দিন প্রেম ভালবাসার এক পর্যায় তারা বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। উভয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা দিনাজপুর নোটারী পাবলিকে এফিডেফিট করে। নুরল ইসলাম বিবাহ রেজিষ্ট্রি করার কথা বলে গত ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার প্রেমিকা ফাতেমাকে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সোনাচালনী গ্রামে বন্ধুর বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে দৈহিৃক মেলামেশা করে। ঐদিন গভীর রাতে ফাতেমা বেগমকে বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং বিয়ে করেছে মর্মে বাড়ীর লোকজনের কাছে ২য় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২য় স্ত্রী পরিচয় পেয়ে ১ম স্ত্রী সহ পরিবারের লোকেরা নুরুল ইসলামকে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরিবারের লোকজন ফাতেমাকে মারপিট ও নির্যাতন করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ফাতেমা জানান, ৪/৫ বছর ধরে উভয়ের মধ্যে গভীর প্রেম ও ভালবাসা চলে আসছে। নুরল ইসলাম আমাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং সকলের কাছে পরিচয় করে দিয়েছে। সুতরাং আমাকে যতই মারপিট ও নির্যাতন করা হউকনা কেন লাশ না হয়ে বাড়ী থেকে যাবো না।
ফাতেমার মা হুসনেয়ারা বেগম জানায়, আমার মেয়েকে নুরল বিয়ের কথা বলে দির্ঘদিন ধরে যে সম্পর্ক তৈরী করেছে তা এলাকাবাসী সকলে জানে, তার কোন কিছু হলে আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করবো।
মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করে জানান আপোষের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত ফকরুল ইসলাম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নুরুলের বাড়ীতে ফাতেমার অবস্থানের সংবাদ পেয়েছি অভিযোগ দিলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।