ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনোর কারবার ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের এক আবেদনে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
দুদকের অন্যতম আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তার মাধ্যমে এ আদেশ পাওয়া গেছে।”
বিচারক গত ৮ জুন এ আদেশ দিলেও তার স্বাক্ষরিত লিখিত আদেশ আসে গত ১৩ জুন। ওইদিনই পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনকে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ চট্টগ্রামের পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হাই এবং ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৭ জুন ওই আবেদন করেন।
সেখানে বলা হয়, “সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জনপূর্বক বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে ।”
তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুমতি চাাওয়া হয় জজ আদালতের কাছে। দুদকের পক্ষে আবেদনের ওপর শুনানি করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নিতে নির্দেশ দেয়।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম