স্পোর্টস ডেস্ক: সিলেট সিক্সার্সের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের রান ৪ উইকেটে ১৪৮। শেষ ওভারে এল ২২ রান। সর্বমোট রান ১৭০।
সেটাও ২৭১ টি-টোয়েন্টি খেলা পাকিস্তানের সোহেল তানভীরের ওভারে! আর রানগুলো করেছেন আরেক পাকিস্তানি শোয়েব মালিক। ১৮ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শোয়েব মালিক কুমিল্লাকে এনে দেন জয়ের পুঁজি। ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট সিক্সার্স। ২৫ রানে পরাজয় নিয়ে বিপিএল শেষ করলো নাসির হোসেন-সাব্বির রহমানরা।
টানা তিন জয়ে সিলেট সিক্সার্স শুরুতেই রাঙিয়ে দিয়েছিল বিপিএলকে। কিন্তু মাঝে পথ ভুলে লড়াই থেকে ছিটকে পরে তারা। শেষ ম্যাচে রেকর্ড গড়ে জয় পেয়েছিল চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে। কিন্তু নিজেদের শেষ ম্যাচে আবারও ছন্দপতন। ম্যাচ হারল বড় ব্যবধানে।
অন্যদিকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা কুমিল্লা পেল নবম জয়। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করল বিপিএলের তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নরা। শুক্রবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক হেভিওয়েট দল ঢাকা ডায়নামাইটস।
আজকের জয় অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে তামিমহীন কুমিল্লার। তবে কুমিল্লার জয় বাদে সবথেকে বড় প্রাপ্তি তাদের ওপেনার লিটন কুমার দাসের রানে ফেরা। ডানহাতি এ ওপেনার আজ মিরপুর মাতান আপন ছন্দে। ৪৩ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় লিটন করেন ৬৫ রান। যা এ বিপিএলে তার সর্বোচ্চ এবং একমাত্র পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। এছাড়া মারলন স্যামুয়েলস ৪৩ বলে করেন ৫৫ রান। শুরুতে জস বাটলার (৩) ও ইমরুল কায়েস (৭) সাজঘরে ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে লিটন ও স্যামুয়েলস ৮৩ রানের জুটি গড়েন। মূলত তাদের ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পায় কুমিল্লা। আর শেষটা রাঙিয়ে দেন তামিমের পরিবর্তে কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দেওয়া মালিক।
জয়ের জন্য ওভারপ্রতি ৮.৫৫ করে রান দরকার ছিল সিলেটের। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে দরকার ছিল বড় ইনিংসের। কিন্তু শুরু থেকেই নড়বড়ে সিলেটের ব্যাটিং। পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ৩৬ রান করে সিলেট। এরপর ধারাবাহিকতভাবে সিলেটের রানের গতি কমতে থাকে এবং টার্গেট বড় হতে থাকে। শেষ দিকে সাব্বির ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার ইনিংসটি ভেস্তে যায় কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। সাব্বির বাদে সিলেটের হয়ে রান করেন আন্দ্রে ফ্লেচার (২৫) ও বাবর আজম (২০)।
বল হাতে কুমিল্লার সেরা বোলার গ্রায়েম ক্রেমার। ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন এ লেগ স্পিনার। ২টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও হাসান আলী।
লিটন কুমার দাস ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।