জাকির সিকদার ,স্টাফ রিপোর্টার : সাভার-আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশ-১-এর কনস্টেবল মুকুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত নামে মামলা করেছে পুলিশ। মামলাটি দায়ের করেছেন থানার এসআই আজাহারুল ইসলাম। মামলা নং-৮। এ ঘটনায় আশুলিয়ার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের পর আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পুরো আশুলিয়া জুড়ে চিরুণি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর সাভার-আশুলিয়ায় অন্তত ১৫টি স্পটে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহজনক সব মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ হত্যাকান্ডের পরে বাড়ইপাড়ার নন্দন পার্কের সামনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে ঘটনাস্থলের আশপাশের সব দোকানপাট। অন্যদিকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে আশুলিয়া থানার এসআই হাবিবকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুর রহমাকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। আশুলিয়া থানার ওসি মহসিনুল কাদির জানান, শিল্প পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে আশুলিয়া থানায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাদী হয়ে মামলা করেন থানার এসআই আজাহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় আশুলিয়ার বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে পুলিশ লাইনে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের দিকে চেকপোস্টে থাকা শিল্প পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব নেয়ার আগ মূহুর্তে একটি মটর সাইকেল যোগে ৩ জন দুর্বৃত্ত আসে। একজন মটর সাইকেল স্টার্ট করে দাড়িয়ে থাকে। অপর ২ জন পুলিশের কাছে এসে কোন একজনের নাম জিজ্ঞেস করেন। উপস্থিত দায়িত্বরতরা ঐ নামের কাউকে চিনেন না বলে জানান। এ সময় মূহুর্তেই তারা চাপাতি দিয়ে প্রথমে মুকুলের ঘাড়ে ও বুকে পরে নূরে আলমের হাতে ও বুকে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আহত পুলিশ সদস্যরা দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী হোটেল শুভেচ্ছা ঢুকে পরলে দুর্বৃত্তরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্য মুকুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত পুলিশ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী এখন আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।