ইতোমধ্যে ৩০ই সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা প্রচারিত হয়েছে মর্ত্যলোকে। চন্ডিপাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গাকে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে হয়েছে দেবী দুর্গার ভক্ত কূল।
আগামী ৭ই অক্টোবর (শুক্রবার) ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দূর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূঁজা। আর এ উৎসবকে সামনে রেখে শেষ মূহুর্তে দেবী দূর্গাকে রঙ তুলিতে রাঙিয়ে ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মৃৎ শিল্পীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা করিগররা। খেয়াল রাখছেন প্রতিমার সৌন্দর্য আর চাকচিক্য বাড়ানোর দিকটি ও।
সনাতন শাস্ত্র মতে, এ বছর মা দুর্গা আসছের গমন করবেন ঘটকে। ভালো বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আসছেন। ফলে দেশে শান্তিশৃঙ্খলার উন্নতি হবে। দেশ ভরে উঠবে সম্পদে, বলে তাদের ধারণা।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রির্পোট থেকে জানা যায়- এ বছর সদর উপজেলায় ১১৩টি, বিরলে ৯৪টি, বোচাগঞ্জে ৮৬টি, কাহারোলে ১০০টি, বীরগঞ্জে ১৫১টি, খানসামায় ১২০টি, চিরিরবন্দরে ১৫০টি, পার্বতীপুরে ১৪৬টি, ফুলবাড়ীতে ৫৫টি, বিরামপুরে ৩৫টি, নবাবগঞ্জে ৮০টি, হাকিমপুরে ১৭টি, ঘোড়াঘাটে ৩৭টি এবং দিনাজপুর পৌরসভা এলাকায় ৩৪টি পুজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন চুড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি পারিবারিক উদ্যোগে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
নবাবগঞ্জ শাখা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, প্রতিমার অবয়ব তৈরি শেষ হয়েছে ; এখন চলছে সাজ-সজ্জা আর রং তুলির আচঁড়ে মা দুর্গাকে আর্কষণীয় করার কাজ। খুব শ্রীগই প্রতিমা কারিগরদের কাজ শেষ হয়ে যাবে, বলে জানান তিনি।
এ দিকে নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, পুজা মন্ডব গুলোর নিরাপত্তা বলয় জোরদারের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে ; আশা করা যায়, এ বছর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুর্গা পুজা সম্পন্ন হবে।