নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তাহলে কি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের গোপন যোগসাজশ আছে? তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই কি তাহলে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এমন প্রশ্নই তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক গ্রন্থ আড্ডায় ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনাকালে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আমরা বিতর্কিত বিচারপতি কে এম হাসান সাহেবের নাম বলে এসেছি। আমার প্রশ্ন, তাহলে কি রাষ্ট্রপতি সাহেবের সঙ্গে ওবায়দুল কাদের সাহেবের একটা গোপন যোগসাজশ আছে? এ কথার উত্তর আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে চাই।
এ ধরনের সার্চ কমিটি দরকার নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি আবার সেই আওয়ামী লীগের পছন্দসই কোনো নির্বাচন কমিশন দেওয়া হয়, তাহলে সেই সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।
ফখরুল আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যা বলেছেন সেগুলো সব মিথ্যা। আমার মনে হয় এগুলো প্রত্যাহার করা উচিৎ।
বাংলাদেশের মানুষে ওপর আগ্রাসন চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই যে আমাদের প্রকাশক ভাইয়েরা আজকে তাদের বই ছাপতে দেওয়া হয় না। যদি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদের ওপরে কোনো কথা বইয়ে থাকে, সে বই ছাপতে দেয়া হয় না। বাধার সৃষ্টি করা হয়। ভয় দেখানো হয়। বইমেলায় বাংলা একাডেমি তাদের বই রাখতে দেয় না। পাকিস্তানীদের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা কোথায়? তারাও তখন কথা বলতে দিতো না, এরাও এখন কথা বলতে দেবে না। আমি ভিন্নমত পোষণ করলে তারা সেটা মেনে নেবে না।
এসময় নতুন প্রজন্মের বই পড়ার জন্য জিয়া স্মৃতি পাঠাগার তৈরির ঘোষণা দিয়ে মহাসচিব বলেন, আমি দায়িত্বে আসার পরে পাঠাগার তৈরি করেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা সেখানে কেউ যায় না। এবার আমরা আলোচনা করে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ব্যবস্থা করবো এবং পাঠাগারের সভাপতির কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, তিনি যেন ভলেন্টিয়ার বেসিসে ওখানে একজন করে লাইব্রেরিয়ান দেন। প্রকাশকরা কথা দিয়েছেন যে বইপত্র তারা দিবেন। এটা যদি করা হয় তাহলে আমাদের ছেলেরা উপকৃত হবে।
জাতীয়তাবাদকে নিশ্চিহ্ন করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, লক্ষ্য করে দেখবেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশি ন্যাশনালিজমকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে, পত্রিকা সব জায়গায় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে নিশ্চিহ্ন করার সুক্ষ ক্যাম্পেইন চলছে।
জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২য় বারের মতো এ গ্রন্থ আড্ডার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের সভাপতি আবদুস সালাম। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন পাঠাগারের সহ-সভাপতি আবদুল হাই শিকদার।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আফরোজা আব্বাসসহ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, প্রকাশক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আড্ডায় অংশ নেন।