মৌলভীবাজারে এক কওমি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে নিয়ে আদালত ও থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। কমিটিকে ডিঙিয়ে ও ব্যাংকে টাকা না রেখে নিজের পকেটে রাখার অভিযোগ করেছে কমিটির অধিকাংশ সদস্যগণ।
ঘটনাটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের মিরপুর হুসাইনীয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায়।
বিবাদীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন আদালত।
কওমি মাদ্রাসা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে যৌথ ব্যাংক হিসাব খুলে সংগৃহীত সকল আয় জমা রাখা বাধ্যতামূলক। এমন কি কমিটিকেও হিসাব দিচ্ছেনা।
সে অনুযায়ী আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক এ খোলা হয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষক (মোহতামিম) ব্যাংকে কোন টাকা রাখেননি। পকেটে টাকা রেখে খরচ করছেন।
২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৯৪,২০০/ টাকা জমা হয়েছে। অথচ প্রায় ১৫ লাখ লক্ষ টাকার উপরে আয় হয়েছে।কওমী মাদরাসার গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকলেও মুহতামিম অডিট ফার্ম ও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কতৃর্ক অডিট করনি।
সভাপতি, সহসভাপতি, কোষাধক্ষ্য ও অন্যান্য সদস্যগণ বারবার এ বিষয়ে তাগিদ দেওয়ার পরও প্রধান শিক্ষক কর্ণপাত করেননি।
কমিটির সদস্যগণ ব্যয়ে বিষয়েও ঘাফলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
সভাপতি কোষাধক্ষ্য-সহ সকল সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ হিসাবের বিষয়ে চাপ দিয়ে আসছিলেন। হিসাবের জন্য চাপ দেওয়ার কারণে সহ-সভাপতি শেখ জুবায়ের আহমদকে প্রধান শিক্ষকের নিকট আত্মীয় দ্বারা গুম করার হুমকি প্রদান করে। এই হুমকির দেওয়ার হলে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। জিডি বলে আসাদ আল হোসাইনকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এছাড়া হিসাব আদায়ের জন্য আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।
কমিটির সদস্যদের কে না জানিয়ে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আয়োজন, ব্যাংকে টাকা জমা না রাখা, অনুমোদনহীন ব্যয় ভাউছার, সংগৃহিত অর্থ খাতায় লিপিবদ্ধ না করা, দীর্ঘ সময় দেশের বাহিরে অবস্থান, একাধিক মাদ্রাসার মহতামিম (প্রধান শিক্ষক) হিসেবে দায়িত্ব পালন, নিজের খেয়াল খুশিমতো চলাফেরা, প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে তার বাবার নামে স্মৃতি বিজড়িত হিসাবে সংযুক্ত করা কমিটি ও এলাকাবাসী আপত্তি করে আসছিলেন।
প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠ ১৯৫৫ সালের তো হয় ইউসুফ হোসাইন ও ক্বারী ইছরাইল হোসাইনের পরিকল্পনায় ও তত্বাবদানে চালু হয় মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন এর বাংলোয়।
প্রতিষ্ঠালগ্নে মাওলানা ইউসুফ হোসাইন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে শেখ বদরুজ্জামান, নুর মিয়া, লাল মিয়া ও আ. হাসিম গং মাদ্রাসা ও মসজিদের ভূমি প্রদান করেন।