এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজধানীর হাজারীবাগে গনকটুলিতে মোবাইল চুরির অভিযোগে হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আরজুর বিরুদ্ধে রাজা (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল ১০টায় এ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোর রাজুকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা আরজু। কিশোরটিকে বাসার গেট আটকে সারা দিন উপর্যুপরি পিটিয়ে বিকাল ৪টার দিকে বাসার সামনে রেখে যায়। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকা জানান রাজু আর নাই, মারা গেছে। রাজার ফুপু রত্না বেগম জানান, তার ভাস্তে রাজা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোর।
সে তার বাবা বাবুল মিয়ার সঙ্গে গনকটুলি এলাকার ৪৬ নম্বর বাসায় থাকত। তাদের বাসার পাশেই ছাত্রলীগ সভাপতি আরজুরা থাকে। রত্তা বেগম অভিযোগ করেন, সকালে আরজুর বাসা থেকে তার একটি মোবাইল খোয়া যায়। এ ঘটনায় সন্দেহ করে আরজু কিশোর রাজাকে ধরে তার বাসায় নিয়ে যায়। এর পর বাসার গেইট বন্ধ করে তাকে বেদম মারপিট করে। বিকেল ৪টার দিকে আরজু রাজাকে অজ্ঞান অবস্থায় বাসার সামনে ফেলে যায়। পড়ে থাকতে দেখে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে নিয়ে আসি।’ পরে বিকাল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান রত্না বেগম। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা আরজু বলেন, ভোরে আমার বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ ও চারটি মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এর আগে রাত তিনটার দিকে জানালা দিয়ে রাজাকে উঁকি মারতে দেখি।
পরে সকালে দেখি ল্যাপটপ-মোবাইল নাই। ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজাকে আজ সকালে আমার বাসায় ডেকে আনি। এ সময় তার খালাত ভাই শামীমকেও ডেকে আনা হয়। তিনি এসে রাজাকে মারধর করেন। আমি তাকে মারধর করিনি। হাজারীবাগ থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই