বিশেষ প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ার বাইনটেকির আব্দুর রশিদের মেয়ে মুক্তার(২৬) সাথে সামাজিক ভাবে মহা ধুমধামে বিয়ে হয় আশুলিয়ার কোনাপাড়ার আলাউদ্দিন দেওয়ানের ছেলে শাহ আলম দেওয়ান(৩২) এর সাথে প্রায় চার বছর আগে ২০১৪ সালে।
তাদের সাংসারিক জীবন ভালো ভাবেই চলছিল আড়াই বছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান, শাহ আলম চাকরি করে স্থানীয় একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কিন্তু সংসারের দিকে তার কোন মন নেই ছেলের প্রতি তার কোন মায়া নেই স্ত্রীর প্রতি তার কোন কর্তব্য নেই, সারাদিন পর অফিস থেকে এসে বাড়ির আনাচে কানাচে এখানে ওখানে শুধু ফোনে কথা বলে।
প্রথমে ব্যাপারটি স্বাভাবিক ভাবে নিলেও, দিন যায় আর এর গভীরতা বাড়তে থাকে, ফোনের অপর পাশে কার সাথে কি হচ্ছে সেটা কেউ জানেনা,
এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি, আস্তে আস্তে নেমে আসে স্ত্রীর উপরে চরম নির্যাতন, দিনদিন নির্যাতনের পরিমাণ বাড়তে থাকে, একপর্যায়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে ব্যাপারটি জানালে শাশুড়ি বলে এভাবে আমার ছেলের সাথে সংসার করতে হবে, সংসার না করতে পারলে চলে যাও।
একদিন ঠিকই মত তাকে প্রচন্ড মারধর করে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে শাহ আলমের পরিবার। না দিতে পারলে এই বাড়িতে আর আসতে নিষেধ করে।
কিছুদিন পরে আবার ওই বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে গেলে তার জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে।
এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিচার শালিস বসালেও তারা কোনো সুরাহা করতে পারে নাই,
অসহায় মুক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, শাহ আলমের সাথে একি গার্মেন্টসে কর্মরত একটি মহিলার সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চলে আসছিল সে মুক্তাকে তালাক দিয়ে সেই মহিলার সাথে সংসার বাঁধবে গোপন সূত্রে মুক্তা জানতে পারে।
তারপরে ওই গার্মেন্টস কর্মীর সাথে যোগাযোগ করলে সে মুক্তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং ওই গার্মেন্টস কর্মীর স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে তার স্বামী শাহ আলম কে ঠিক রাখতে বলে এবং তিনি বলে আমার স্ত্রী ঠিক আছে আপনার স্বামীকে আপনি ঠিক করেন।
পরবর্তীতে আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই গার্মেন্টস কর্মী এবং তার স্বামী দুজনেই একটি প্রতারক চক্র তারা এভাবেই বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ অনেক স্বনামধন্য পরিবারের ছেলেদের ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়, এভাবেই সাধারণ মানুষের জীবনে তাদের দ্বারা নেমে আসে চরম ভোগান্তি।
মুক্তা তার স্বামীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলোও সে বোঝেনি বরং উল্টা তার উপরে নেমে আসে অস্বাভাবিক নির্যাতন।
পরবর্তীতে স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে শাহ আলমের বাড়িতে খবর পাঠালেও তারা মুক্তাকে নিতে রাজি হয়নি তারা বলে ওই মেয়েকে নিয়ে আর তাদের ছেলে সংসার করবে না।
এরপর মুক্তার পরিবার ২৬/০২/১৯ তারিখে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।