ডেস্ক নিউজ: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সোহাগ সরদার (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সোহাগ উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের সামছুর সরদারের ছেলে।
রোববার সকালে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, গতকাল শনিবার বিকেলে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) ধর্ষণের শিকার হয়। সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় সোহাগকে আসামি করেন শিশুটির নানি।
‘রাতে আসামি সোহাগকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নামে। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামে এক যুবককে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।’
ওসির ভাষ্য, ‘দুই পক্ষের গোলাগুলির পর হিজলদীর ওই মাঠে যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁকে দ্রুত কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁকে সোহাগ সরদার হিসেবে শনাক্ত করা হয়।’
গোলাগুলিতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহসান ও এএসআই সাগর আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
কলারোয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষক নিহত সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোহাগ হোসেন (২৬) নামে এক ধর্ষক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলার হিজলদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
সোহাগ হোসেন উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শামসুর সরদারের ছেলে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বাংলানিউজকে জানান, শনিবার বিকেলে সোহাগ তৃতীয় শ্রেণির একটি শিশুকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় থানায় তাৎক্ষণিক মামলা রেকর্ড হয়। রাতে তাকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় সোহাগের আক্রমণে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে সোহাগ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে শিশুটি স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন সোহাগ। এ ঘটনায় ওই শিশুর নানি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। শিশুটি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উৎসঃ বাংলানিউজ