কুলাউড়া প্রতিনিধি::: কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান অনিয়মের ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবী জানিয়ে ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান। কুলাউড়া শহরের এক হোটেলে আয়েজিত সংবাদ সম্মেলনে সফি আহমদ সলমান বলেন,কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভোটারদের ভীতি প্রদর্শণ করে ও এজেন্টদের কেন্দ্র হতে বের করে দিয়ে নৌকার বিজয়কে বানচাল করেছেন। তিনি এর আগে ৬ ডিসেম্বর ইউএনও’র বিরুদ্ধে সিইসি বরাবরে অভিযোগ করেছিলেন। এর আগে গত ২২ নভেম্বর তাকে সুনামগঞ্জ উপজেলায় বদলী করা হয়। কিন্ত তিনি সেখানে যোগদান না করে নির্বাচনের সাথে সংশি¬ষ্ট সকল কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে কৌশলে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করেন। এছাড়া আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আলম ইউনুছ ভোট গ্রহনের আগের দিন কুলাউড়ার একটি ব্যাংকে তাঁর নিজের একাউন্ট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তুলে ভোটার ও প্রশাসনকে দেয়ার এবং বিদ্রোহী ও বিএনপি দলীয় প্রার্থীর নিকট থেকে পুলিশের জন্য কুলাউড়া থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম ৭ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ করেন।তিনি আরো বলেন,ভোটের দিন সকল অফিস বন্ধ থাকলেও কুলাউড়া ইউএনও’র অফিস খোলা ছিল। তিনি অফিসে না থেকে ফোনে বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোট সংশ্লিষ্ট দের নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। নির্বাচনের কোন দায়িত্বে না থাকার পরও ইউএনও ভোটের আগের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আলম ইউনুছকে নিয়ে ইউএনও’র কার্যালয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন। ইউএনও’র কলকাঠিতে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আলম ইউনুছকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। সফি আহমদ সলমান নির্বাচন বাতিল করে এবং প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আলম ইউনুছকে মেয়র হিসাবে শপথ না করে বিকল্প কাউকে দিয়ে পৌরসভা পরিচালনার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে সুবিচার না পেলে প্রয়োজনে তিনি আদালতের আশ্রয় নেবেন।