তুহিন মাহমুদ (বিশেষ প্রতিনিধি) গত ২৯ অক্টোবর ২০১৭ইং রবিবার বিকাল ৪:০০টায় মিলানের রাজপথে সমাবেশ ও মৌনমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মায়ানমার সামরিক বাহিনী কর্তৃক আরাকান রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন,নারী ধর্ষন,পৈশাচিক আচরনে অতিষ্ঠ হওয়া, ঘরবাড়ি পুঁড়িয়ে দিয়ে বাস্তুহারা করার করার খেলায় মেতে ওঠে যার কারনে নারী,শিশু সহ সকলে নি:স্ব হয়ে জন্মভূমি ছেড়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আসে।
প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম বিতারিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, এর পূর্বেও রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এখন প্রায় দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে জড়ো হয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠী কে বাংলাদেশ সরকার মানবতার দৃস্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছে খাবার মুখে তুলে দিয়েছে।চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।কিন্তু এতে কি সমাধান হবে?তাদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান করা এবং নিরাপদভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে বিশ্ব মানবতাবাদী মানুষের দৃস্টি আর্কষন ও বিশ্বজনমত তৈরী করে মায়ানমারের প্রতি চাপপ্রয়োগ করার নিমিত্তেই এই সমাবেশেরর মূল লক্ষ্য।
মিলান,ভারেজ,গাল্লারাত,ব্রেসিয়া,ডেনমার্ক সহ বিভিন্ন শহরের প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ইতালিয়ান বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, একোদরের নেতৃবৃন্দ ও সমাবেশে অংশ গ্রহন করেন।
র্যালিটি পর্তা ভেনিছিয়া থেকে শুরু করে মিলান সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে সমাপ্ত হয়ে।
পরে সমাবেশ সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
সকলের একটিই দাবি “অনতি বিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলিমদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে তাঁদের নাগরিকত্ব অধিকার দিতে এবং মানবতা ও রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানান। অং সান সু চীর কর্মকান্ডের প্রতিও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন।