ডাক্তার ও লেখিকা ফারহানা মোবিন:: আকারে ছোট মলা-ঢ্যালা মাছ। কিন্তু পুষ্টির মূল্য বিচারে এর অবস্থান অনেক ঊর্ধ্বে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’। এই ভিটামিন চোখের জন্য যথেষ্ট উপকারী। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার
চোখের জন্য মলা-ঢ্যালা মাছ ভীষণ জরূরি। দেহের জন্য প্রয়োজনীয়
খনিজ লবণও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত। তাই ডায়রিয়া-পরবর্তী রোগীদের জন্য অল্প তেল-মসলা দিয়ে কাঁচকলা ও মলা-ঢ্যালা মাছ জোগাবে পরিপূর্ণ পুষ্টি।
এই মাছের হাড়ে রয়েছে উ‛চমাত্রার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ দাঁত, হাড়, চুল ও নখের গঠনে রাখে
গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা। চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই এই মাছে, তাই মোটা ব্যক্তিরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে খেতে পারেন এটি। মানুষকে রোগ-জীবাণুর বিরূদ্ধে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। নতুন খাবার খেতে শিখেছে—এমন শিশুদের জন্য মলা-ঢ্যালা মাছের তরকারি বা বিভিন্ন সবজির সঙ্গে এই মাছ মিশিয়ে খিচুড়ি ভীষণ পুষ্টিকর। তবে ছোটদের ক্ষেত্রে মাছের কাঁটা সম্পর্কে সচেতন হোন। বড়রা কাঁটাসহ মলা-ঢ্যালা মাছ খেতে পারলে ভীষণ ভালো। কারণ, খুব ছোট মাছের কাঁটাতেও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম।
গর্ভবতী মায়েদের প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন
হয়। এগুলো দেহে রক্ত বাড়ায়। গর্ভস্থ শিশুকে সুস্থ-সবল রাখতে পালন করে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা। এতে প্রোটিন বা আমিষ রয়েছে যথেষ্ট। আমিষ দেহে শক্তি বাড়াতে ও রোগকে দূরে সরাতে ভীষণ জরূরি। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে (বিশেষ করে ৪০ বছরের পর থেকে) দেহে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে। এই ঘাটতি পুরূষের চেয়ে মেয়েদের হয় বেশি। তাই মেয়েরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন এই মাছ।