বিজ্ঞপ্তি 📢 গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ কানেক্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনা পরিষদের জরুরি সভায় এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনা হয় ও সর্বসম্মত ভাবে নিম্ন লিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, দীর্ঘ দিন থেকে কানেক্ট বাংলাদেশে যৌথ নেতৃত্বের নামে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির একনায়কত্ব চলছিল। সেই ব্যক্তিটি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন মনসুর চৌধুরী। রোম সম্মেলনে সবার বক্তব্যকে উপেক্ষা করে জনাব মনসুর তার ইচ্ছা অনুযায়ী কমিটি তৈরী করেছিলেন। রোম সম্মেলনে অনুমোদিত গঠনতন্ত্রকে তিনি সম্পাদনা করে পরিবর্তন করতেও পিছপা হননি। গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে নিজের পছন্দ মত বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা তার নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। তার একনায়কত্ব বজায় রাখার জন্য যাদের তিনি বাধা মনে করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে তিনি দিনের পর দিন পরিকল্পনা পরিষদ ও সমন্বয় কমিটির বিভিন্ন সদস্যের কাছে ফোন করে মিথ্যে কাহিনী সাজিয়ে কান ভারী করতে শুরু করেন। তার মিথ্যা প্ররোচনায় দোসর পেতে অসুবিধা হয়নি। অচিরেই তিনি সর্ব জনাব আলম শাহ, আখি সীমা কাওসার সহ কিছু লোককে সাথে জুটিয়ে কানেক্ট বাংলাদেশের ভিতরে উপদল তৈরী করেন এবং ছক অনুযায়ী কানেক্ট বাংলাদেশকে উপদলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত করতে থাকেন। শুধু তাই নয়, এখনও কানেক্ট বাংলাদেশের পরিধির বাহিরে সমন্বয়কদের ও পরিচিতজনদের ফোন করে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করে চলেছেন মনসুর চৌধুরী এবং তার দোসররা। সমন্বয়কবৃন্দ যারা আদর্শ ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কানেক্ট বাংলাদেশকে পরিচালনা করার পক্ষে কাজ করেছিলেন, তারা সংগঠনের স্বার্থে অভিযুক্তদের অগঠনতান্ত্রিক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে বা প্রতিবাদ করে তাদেরকে বিরত করতে ব্যর্থ হয়েছেন । কারণ তারা অনলাইন মিটিংয়ে মুক্ত মনে হাজির হয়েছেন, আর মনসুর গংরা দল পাকিয়ে মিটিংয়ে আসতো। মিটিংয়ে আলোচনা হয়ে এক ধরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা পরে মিটিংয়ের মিনিটে অন্য রকম লিখে পোষ্ট করেছে। রোম সম্মেলনের পর থেকেই এটা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছিল।
গঠনতন্ত্রের ধারার বাইরে যেয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটিতে সমন্বয়ক নেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে ভবিষ্যতে আর এমনটি করবে না। রোমে অনুমোদিত গঠনতন্ত্র নতুন ভাবে সম্পাদনা করে ১৫ই জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে পরিকল্পনা পরিষদে উপস্থাপন করেছিল, বলেছিল এরপর আর কোন পরিবর্তন অগঠনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হবে না। উপরে উল্লেখিত সমন্বয়করা অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংগঠনের স্বার্থে প্রচন্ড গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু দড়ির বাঁধন বেশী কষতে গেলে সেটা ছিড়ে যায়, এই সত্যিটি মনসুর গংরা ভুলে গেলেন। তারা কানেক্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কাঠামো পরিকল্পনা পরিষদে যখন ননপ্রফিট সংগঠনের অর্থ আত্মসাতের দায়ে বৃটিশ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত জনাব আবু আহমেদ খিজিরের নাম প্রস্তাব করলেন, তখন সমন্বয়কবৃন্দের অনেকেই তাদের বুঝাতে চেষ্টা করেছিল, এটা ৪.৬ উপধারা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র বিরোধী একটি পদক্ষেপ। তারা কোন যুক্তি-তর্কই গ্রাহ্য করলেন না। তারা জনাব খিজিরকে পরিকল্পনা পরিষদে নিবার জন্য এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন যে, গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করা তাদের কাছে কোন বিষয় না। কারণ গঠনতন্ত্র তারা তো তাদের প্রয়োজনে আগেও ভঙ্গ করেছেন। এই নিয়ে পরিকল্পনা পরিষদে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলো।
উপরুক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা পরিষদের অনলাইন মিটিং ডাকা হলো। মিটিংয়ে পরিকল্পনা পরিষদের ২০ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উপধারা ৬.৩ অনুযায়ী সভার কোরাম না হওয়ায় এই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার গঠনতান্ত্রিক কোন অধিকার নেই। তারপরও সেই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে, জনাব খিজিরের সদস্য পদের জন্য হ্যা-না ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং মেসেঞ্জার গ্রূপের দেওয়ালে পোষ্ট করে ভোট দিতে হবে। যেহেতু কোরাম বিহীন সভার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন গঠনতান্ত্রিক বিধান নেই এবং পরিকল্পনা পরিষদে একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তাছাড়া মনসুর গংরা চাইছিলেন গায়ের জোরে সিদ্ধান্ত নিতে। ফলশ্রুতিতে, সমন্বয়কবৃন্দ অনেকেই প্রস্তাব করেছিলেন ঢাকায় বিশেষ সম্মেলন করে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অধিকাংশ সদস্য যদি জনাব খিজিরকে নেওয়ার পক্ষে হয়, তাহলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সদস্য হতে পারবে, এই মর্মে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে তবে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। অনেকে ভোট দিয়েছিলেন হ্যা, অনেকে না, অনেকে লিখেছেন একমত, অনেকে সহমত। যারা একমত বা সহমত লিখেছেন তারা কি হ্যা-তে একমত বা সহমত নাকি না-তে একমত বা সহমত নাকি বিশেষ সম্মেলনের বিষয়ে একমত বা সহমত, তা পরিষ্কার করে লিখেননি। হ্যা, একমত এবং সহমত ধরলেও জনাব খিজির ভোট পেয়েছেন দশটি। সাধারণ সংখ্যা গরিষ্ঠও নয়।
জনাব মনসুর একনায়কের মত সব কিছু উপেক্ষা করে জনাব খিজিরকে পরিকল্পনা পরিষদে নেবার সিদ্ধান্ত দিলেন এবং মেসেঞ্জার গ্রূপে সংযুক্ত করলেন। এই রূপ কর্মকান্ডের কারণে পরিকল্পনা পরিষদ কার্যকারিতা সম্পূর্ণ রূপে হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় সংগঠনের অচলাবস্থা ও সংকট নিরসনে জরুরী কাউন্সিল অধিবেশন ডাকা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পন্থা ছিলনা। এই অবস্থায় সমন্বয়কবৃন্দ জরুরী সভা ডাকে এবং ঢাকায় বিশেষ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সংকট নিরসনের নিমিত্তে সেই সম্মেলনে সমন্বয়কবৃন্দ কানেক্ট বাংলাদেশের সকল সদস্যকে অংশ গ্রহণের আহবান জানায়। কিন্তু সর্ব জনাব মনসুর চৌধুরী, আলম শাহ ও আখি সীমা কাওসার গংরা সমন্বয়কদের সকল আহবান উপেক্ষা করে “কানেক্ট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল” নামে কানেক্ট বাংলাদেশের পাল্টা একটি নতুন সংগঠন রেজিস্টার করেছেন। কানেক্ট বাংলাদেশের ফেইসবুক পেইজ থাকা সত্ত্বেও তারা কানেক্ট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনালের ফেইসবুক পেইজ খুলেছেন।