নানা যন্ত্রনা সহ্য করেই সাংবাদিকদের কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, “এজন্য সাংবাদিকতাকে বলা হয় থ্যাংকলেস জব। একজন ভালো সাংবাদিকের কোনো বন্ধু থাকে না। তাদের কাজে কেউ সন্তুষ্ট থাকে না।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেন পেশায় আইনজীবী রেজাউল করিম।
দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাতিকদের চক্ষুশূল হওয়া কিংবা মালিক পক্ষের কারণে সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কথা বলেন তিনি।
রেজাউল বলেন, “প্রশংসাসূচক সংবাদ হলে আমরা খুব খুশি হই, কিন্তু অনিয়ম, দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার সংবাদ হলে আমরা খুশি হতে পারি না।
“অনেক সময় মালিকপক্ষের বিজাতীয় আচরণ সাংবাদিকদের সইতে হয়। তাদের স্বকীয়তা বিকাশের জায়গা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। সাংবাদিকগণ অনেক সময় প্রয়োজনীয় বেতন-ভাতা পান না বলে অত্যন্ত কষ্টদায়ক জীবনযাপন করেন।”
দুর্নীতির বিষয়গুলো সামনে তুলে ধরে সরকারকে সহায়তা করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান পূর্তমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অনিয়ম করে হঠাৎ করে উত্থান হওয়া ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে আসুন। মানুষ যেন তাদের ঘৃণা করতে পারে। কিছু সাদা পোশাকধারী রাজনীতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ব্যক্তি দেশের এত উন্নয়নের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। তাদের চিত্র তুলে ধরতে হবে।”
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘রূপসী বাংলা’ শীর্ষক জাতীয় ফটো প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণে এই অনুষ্ঠান হয়।
আলোকচিত্র সাংবাদিকদের কাজের প্রশংসা করে রেজাউল করিম বলেন, “ফটো সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। তারপরও ফটো সাংবাদিকরা নির্মল ও নির্ভেজালভাবে তথ্য উপস্থাপন করেন, যা অনেক ক্ষেত্রে অন্য সাংবাদিকরাও পারেন না।”
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত আটজন আলোকচিত্র সাংবাদিকের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনায়েত করিম, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা।