মো. মোবারক হোসেন, মানিকগঞ্জ : চতুর্থ দফায় আগামী ৭মে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন জনগণকে উপহার দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রশাসন।
সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা। সভায় যে কোন বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারী দেয়া হয়। এসময় সকল চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশসানের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গাজী আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ করার লক্ষে ভোটের দিন সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘে তাঁদের ভোটারধিকার সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারে। যে প্রার্থী ভোট বেশি পাবেন তিনিই বিজয়ী হবেন। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইউএনও শেখ জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যদেন জেলা নির্বাচন অফিসার মুনীর হোসাইন খাঁন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ যেন কোন অনিয়ম ও ভোট কারচুপি অথবা গোলাযোগ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ পর্যাপ্ত পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। প্রচারণার সময় যেসব প্রার্থী আচরণবিধি লংঘন এবং আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করবে তাঁদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এছাড়া সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলার আহবান জানান জেলা নির্বাচনের এই শীর্ষ কর্তাব্যক্তি।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌসুমী আক্তার রাখি, সিঙ্গাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দুজ্জামান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাওলাদার মোহাম্মদ কামরুল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ, পরিসংক্ষান অফিসার ওবাইদুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আব্দুল বাছেদ।
এছাড়াও, বক্তব্যদেন উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন খাঁন, চান্দহর ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন, চারিগ্রাম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সাজেদুল আলম স্বাধীন, জয়মন্টপ ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী খাঁন হাবিবুল আলম মোহাম্মদ আলী, চান্দহর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আফজাল হোসেন ও তালেবপুর ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী সুলতান মাহমুদ লিটনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়াম্যান ও সাধারণ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা। তাঁরা প্রতিদ্বন্দী ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাঁধা, ভোটার ও কর্মী সর্মথকদের মারধর, হামলা-মামলা, হুমকি ও পুলিশি হয়রানীর অভিযোগ করেন।
এসময় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।