বাসা থেকে বোনের ফোন ঃ শোন ভাইয়া, তোর বিয়ের জন্য লম্বা পাএী ঠিক করেছি।
হাসান ঃ আমি কুমিল্লার ঐ মেয়েকেই বিয়ে করবো। তার একটা flat আছে।
বোন ঃ ঠিক আছে তোর জীবন তুই ভালো বুঝবি।
হঠাৎ বেজে উঠলো ফোন ঃ কিরে তুই কোথায়?
তোর মুখ টা না দেখে আমি যে কবিতা লিখতে পারিনা।
হাসান ঃ আর বলোনা, তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমি সবকিছু এলোমেলো করে ফেলি…! চারিদিকে আমি শুধু তোমাকেই দেখি। এইতো পৌঁছে যাবো তোমার কাছে।
আবারো বেজে উঠলো ফোন ঃ তুমি কোথায়? তোমার মুখ টা না দেখে আমি কিভাবে নিউজ পড়বো বলো?
হাসান ঃ ” আর বলোনা, তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমি সবকিছু এলোমেলো করে ফেলি…! চারিদিকে আমি শুধু তোমাকেই দেখি।
এইতো পৌঁছে যাবো তোমার কাছে। শোনো আমাদের পাশাপাশি বসে থাকা ছবিগুলো তুমি কিন্তু ফেসবুকে দিওনা। “
হাসান লাইন টা কেটে দিল। হাতের কাগজ গুলো তে বার বার চোখ বুলিয়ে নিলো। বিকেলে বক্তৃতা দিতে হবে, ” বিষয় নারীর মর্যাদা ও আমাদের সমাজ।
আবারও বেজে উঠলো ফোন।
” চিতকার করতে করতে চার নম্বর নারী বললো, ” তুমি কোথায়? তুমি ফেসবুকে ওমুক মেয়েকে কে কেন লাভ স্টিকার দিয়েছো?
তুমি আরেক মহিলা কবি কে কেন রোমান্টিক কমেন্ট লিখেছো? তুমি যদি অন্য কাউকে পছন্দ করো, তাহলে আমার হাত ধরে রেখেছো কেন???
আমিতো মানুষ। আমি কোন পুরুষ মানুষের
খেলনা না। “
হাসান ঃ বলদ কোথাকার, তুমি এখনো শিশুই থেকে গেছো। ওরা তো আমার বোন।
চতুর্থ নারী ঃ রেগে আগুন হয়ে ফোনের লাইন কেটে দিল।
হাসান চতুর্থ নারী কে আবারও বলে উঠলো,
বলদ কোথাকার!!!
ফারহানা মোবিন,
চিকিৎসক, লেখক ও উপস্থাপিকা