অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে খোকন এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
তবে রোববার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামকেই মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
দলের মনোনয়ন ঘোষণার দিন নিজের বাসায়ই ছিলেন মেয়র সাঈদ খোকন। যাননি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয় নগর ভবনেও।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই বিষয়ে এ মুহূর্তে ‘নো কমেন্ট’।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেলা ১২টায় ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সিটিতে শেখ ফজলে নূর তাপস এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আতিকুল হকের নাম ঘোষণা করেন।
সাঈদ খোকনকে বাদ দেওয়ার কোনো কারণ জানাননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “যারা মনোনয়ন বোর্ডে ছিলেন, তারা প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার বিষয়টি দেখেছেন। গ্রহণযোগ্যতার দিকটি বিবেচনায় নিয়েছেন। সবার সম্মতিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়েছেন। এটা নিয়ে বাড়তি কিছু বলার নেই।”
এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় সমালোচিত দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন যে এবার আর আওয়ামী লীগের টিকেট পাচ্ছেন না, সে আভাস গত ২৬ ডিসেম্বরই পাওয়া গিয়েছিল।
সেদিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলতে এসে কাঁদতে কাঁদতে খোকন বলেছিলেন, রাজনৈতিক জীবনে তিনি ‘কঠিন সময়’ পার করছেন।
তার জায়গায় এবার মনোনয়ন পাওয়া ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে। তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসা তাপস বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদেরও নেতৃত্বে আছেন। তার বড় ভাই শেখ ফজলে শামস পরশ গত নভেম্বরে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকা দুই ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন পুরান ঢাকার ছেলে সাঈদ খোকন। ওই বছর ৬ মে মেয়র হিসেবে শপথ নেন তিনি।
আগামী বছর ১৭ মে পর্যন্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্বে আছেন সাঈদ খোকন।