অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর দোকান ঘর উচ্ছেদ ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের গোবিন্দ হালদারের পুত্র অমল হালদার দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ মোল্লাপাড়া বাজারে ক্রয়কৃত নিজস্ব জায়গায় দোকানঘর তুলে গ্যারেজ, রাইসমিল ও তেলের ব্যবসা করে আসছে।
বৃহস্পতিবার একই গ্রামের নগেন সরকারের মেয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষিনী সরকার ও তার ভাই ননী সরকারের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন বহিরাগত লোক নিয়ে জোরপূর্বক ব্যবসায়ী অমলের দোকানঘর ভাংচুর করে মালামাল ফেলে দেয়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা।
এসময় অমল প্রতিবাদ করতে চাইলে সুভাষিনীর ভাই ননী তার অনুসারী লোকজন নিয়ে ব্যবসায়ী অমলকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই দখলকৃত জায়গায় তড়িঘড়ি ইটের প্রাচীর নির্মাণ করে। ক্ষতিগ্রস্থ অমল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে ব্যবসায়ী অমল বলেন, স্থানীয় অনিল সরকারের কাছ থেকে আড়াই শতক রাস্তার পাশের জায়গা ক্রয় করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
এব্যাপারে মোল্লাপাড়া ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মনোতোষ সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সরকারী কর্মকর্তা সুভাষিনী সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, জায়গাটি আমার দাবি করে সেখান থেকে অমলকে সরে যেতে বললেও সে না যাওয়ায় আমার ভাই ননী লোকজন নিয়ে তার দোকানঘর উচ্ছেদ করেছে। তখন ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।
এব্যাপারে থানার এএসআই মিন্টু লাল হীরা জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে পেয়েছি।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই