ডেস্ক নিউজ : উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদান ও নন-টেকনিক্যাল লোকসান কমিয়ে আনতে ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় মোট ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদান ও নন-টেকনিক্যাল লোকসান কমিয়ে আনতে ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার বসানো হবে। ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২১টি জেলার ২১ উপজেলায় এসব মিটার বসানো হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এসব মিটার স্থাপন করবে। জুলাই ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদকালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
তিনি আরো জানান, প্রকল্পটির আওতায় সিংগেল ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সংগ্রহ-৪৮৬০০০টি; থ্রী ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সংগ্রহ-১৪০০০টি; ইউটিলিটি ভেন্ডিং স্টেশন স্থাপন-৫৬টি; ইউটিলিপি কাস্টমাইজেশন সেন্টার স্থাপন-২৮টি; হ্যান্ড হেলড ইউনিট স্থাপন-৫৬টি এবং ১টি ডিজাস্টার রিকভারী সেন্টার স্থাপন করা হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকা।
শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন গোপালগঞ্জ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।