প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। তাই এখানে চরমপন্থা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো চরমপন্থীদের প্রভাব বানচাল করে দিতে খুবই সক্রিয় রয়েছে। বাংলাদেশে যেকোন ধরনের চরমপন্থার প্রভাবের সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়ে বলেছেন, তার সরকার এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক রয়েছে।
ফ্রান্সের সফররত পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী লরাঁ ফাবিউস এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার সোমবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এব্যাপারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারী সামরিক এক নায়করা সংবিধানের অন্যতম মৌলিক নীতি ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসহ ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি পুনর্বহাল করে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করেছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনেক সমস্যা সমাধান করেছি।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সম্পর্কে ফ্রান্স ও জার্মানীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি খাত যৌথভাবে দেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের নীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প অন্যান্যের দেশের তুলনায় পোশাক তৈরিতে সর্বোচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন।