আশুলিয়া,ঢাকা ,থেকে জাকির সিকদার: শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরানী-আমতলা সড়কের বেহালদশা দীর্ঘদিনের। হাজার হাজার শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকাটির একমাত্র সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের একটি কথাই সড়ক নয়, এ যেন জলাশয়। এ ব্যাপারে চরম উৎকন্ঠা নিয়ে পরাগ সাংবাদিক সহ ভুক্তভোগীরা জানান, এ সড়কটির প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ পীচ দিয়ে নির্মিত হয় ২০০৩ সালে। এরপর সড়কটি আর সংস্কার হয়নি। সড়কটি দিয়ে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে উঠতে হয়। এ সড়কের পাশে রয়েছে আলহাজ আবদুল মান্নান ডিগ্রী কলেজ, টেঙ্গুরি দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা, শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিকেএসপি পাবলিক স্কুল, বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতাল, মরিচকাটা বৃদ্ধাশ্রম, কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০/১২টি পোশাক কারখানা ছাড়াও রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং প্রাইভেট ক্লিনিক রয়েছে। একমাত্র এ সড়ক দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। গত ৫ বছর যাবৎ হাজার সহস্রাধিক খানা-খন্দে ভরপুর ও বড় বড় গর্ত এখন ভরা এ শুকনো মৌসুম জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এ জলাশয় এখন এলাকাবাসীর মরণ ফাঁদ। প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ যাত্রীরা দুর্ঘটনার কবলে পরে ফিরতে হয় তাদের গন্তব্যে। সময়মতো অসুস্থদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগ আর দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। ঘর থেকে বাসিন্দারা সহজে বের হতে পারছে না। বৃষ্টিহীন রৌদ্রজ্জ্বল ভরা মৌসুমে সড়ক নামক জলাশয় পারি দিয়ে গন্তব্যে ফিরতে চরম দুর্ভোগে দিশেহারা যাতায়াতকারীরা। লক্ষাধিক লোকের বসবাসরত এ জনপদের সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সড়কের অভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে শিমুলিয়া ইউনিয়ন। একাধিক কলেজ ছাত্রী জানান, সড়কটির বেহালদশায় তাদের নিয়মিত কলেজে যেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে লেখা-পড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত হচ্ছে। জানতে চাইলে শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আজহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, সড়কটি এলজিইডির অধীন। তাদের বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। কয়েক বছর যাবৎ শুধু আশ্বাসের বাণী শোনানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে বলেন, দিন দিন যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় কঠিন সময় পার করছে যানবাহন চালক ও এলাকাবাসী।