ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে আসবেন না, এটা তাদের দলীয় বিষয়। তাদের নির্বাচনে নিয়ে আসার ব্যাপারে সরকারের কোনো দায় নেই। তাছাড়া , খালেদা জিয়ার রায়ের বিষয়ে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি।
রোববার দুপুরে দাউদকান্দি গোমতি সেতু এলাকায় কাঁচপুর-মেঘনা, গোমতির দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু পুনর্বাসন প্রকল্প ও গোমতি সেতুর সুপার স্ট্রাকচার কাজের উদ্বোধন কালে ওবাইদদুল কাদের বলেছেন, দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবেনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র রক্ষার নামে তারা আগুন, বোমা সন্ত্রাস চালিয়েছিল। তিনি বিএনপি’কে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ২০১৪ সালের মতো নীলনকশা থাকলে বিরত হোন।পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে জনগণ প্রতিহত করবে। জনগণ অনেক সচেতন, সজাগ। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
এ প্রসঙ্গে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য রুহীন হোসেন প্রিন্স রেডিও তেহরানকে বলেন, সরকারের মন্ত্রী বা নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় তারা যা বলবেন, তারা যা করবেন সেটই গণতন্ত্র। তারা আসলে গণতন্ত্র নিয়ে জনগনের সাথে উপহাস করছে।
এদিকে, আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তথাকথিত মাদার অব ডেমোক্রেসি উপাধি দিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে। তাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি উপাধি না দিয়ে মাদার অব থিবস অ্যান্ড টেরর উপাধি দেওয়া উচিত।’
শনিবার বিকেলে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে উপাধি দেন।
রবিবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকার পোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন,খালেদা জিয়া দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করেছেন তাকে কোনও উপাধি দিয়েই তা দূর করা সম্ভব নয়।