জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপনার জট যে হারে বেড়েছে তা দেখে যেকারোরই সবুজ মাঠ মনে হতে পারে। প্রতি বছর বর্ষনে হ্রদের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এই কচুরিপানার জটের সৃষ্টি হয়। এর কারণে স্বাভাবিক নৌযান চলাচল মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছানো যাচ্ছে না। নৌ যোগাযোগ নির্ভর চাকুরিজীবি, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। নৌকার চালকরা জানিয়েছেন কচুরিপনার জঞ্জালে তাদের জ্বালানি তেলের পরিমাণ দ্বিগুনেরও বেশি লাগে আর প্রায়ই ভেঙ্গে যাচ্ছে ইঞ্জিনের পাখা। এভাবে প্রতিবছর দুর্ভোগ আকার ধারণ করলেও তার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসছে না স্থানীয় প্রশাসন।
মাঠ পর্যায়ে হৃদের কয়েকজন নৌকা চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর প্রবল বর্ষনে পানি বৃদ্ধির ফলে এই ধরনের কচুরিপনার জট লাগে। তাই জঞ্জাল ঠেলে তাদের ৫-১০ মিনিটের পথ যেতে ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। এর ফলে তাদের নৌকার প্রয়োজনীয় জ্বালানী তেলের পরিমাণ ও সময় দু’ই বেশি লাগে। এর উপর কচুরিপনার জটে লেগে প্রায়ই নৌকার ইঞ্জিনের পাখা ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে। কর্ণফুলী পেপার মিলের কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, প্রতি বছর এ ধরনের কচুরিপানা জটের ফলে জনসাধারণ কষ্ট পাচ্ছে। মিলের বাঁশ সঠিক সময় গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারছি না। এতে করে আমাদের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদে চলাচলকারী সরকারি চাকরিজীবীরা বলেন, আমরা এ কচুরিপানার জটের কারণে সঠিক সময়ে চাকরিস্থলে না পৌঁছার কারণে কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও জানায়, কচুরিপানার ফলে তারা সঠিক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে না পারায় ক্লাস মিস হচ্ছে। অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়াই হচ্ছে না। কয়েকজন মাঝি বলেন, অসুস্থ রোগীদের নিয়ে বেশি ভোগান্তিপোহাতে হয়। এ দিকে কেপিএমের কার্গো প্রণালী টলি পারাপার, বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সম্প্রতি উষাতন তালুকদার এমপি ও জেলা প্রশাসক সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেলেও কোনো ব্যবস্থার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবী অতিস্বত্তর স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করে ভোগান্তি লাঘব করা হোক।